নিজস্ব প্রতিবেদক:
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন রবিবার (৩০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত রাজধানীর বেশির ভাগ পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে। ভোটের কারণে কর্মী সংকট থাকায় পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন মালিকরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। দুপুরের পর থেকে স্টেশন খোলা পাওয়া যাবে। তবে ঠিক কয়টা থেকে এসব পেট্রোল পাম্প ও সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে এবং কখন খুলবে তা নির্দিষ্ট করে জানাননি মালিকরা।
জানা গেছে, নির্বাচনকে ঘিরে শনিবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত থেকে সব ধরনের যানবাহন বন্ধ থাকবে, আর তাই তেল বা সিএনজিও বিক্রি হবে না। এজন্য ভোট গ্রহণের দিন জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ রাখা হবে। একই কারণে নির্বাচনের দিন বিপিসি তেল সরবরাহ বন্ধ রাখবে। আগামী সোমবারের আগে অনেক স্টেশন খোলা হবে না বলেও মালিক পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকাল থেকে রাজধানীর কোনও কোনও ফিলিং স্টেশন নোটিশ দিয়ে ২৯ ও ৩০ তারিখ তাদের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়ে জ্বালানি সংগ্রহের জন্য অনুরোধ করেছে। এর মধ্যে সরকারি প্রতিষ্ঠান মেঘনা পেট্রোলিয়ামের পরিবাগের স্টেশনটি অন্যতম। তারা আজ শনিবার ও আগামীকাল রবিবার স্টেশন বন্ধ রাখবে বলেও নোটিশে উল্লেখ করেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সরকারি ছুটির দিনে তেলের ডিপো বন্ধ থাকে। টানা সরকারি ছুটি পড়ায় তেল সরবরাহে সমস্যা হচ্ছে। তেল কিনতে হলে ডিপোর সঙ্গে ব্যাংকও খোলা থাকতে হয়। ফলে জ্বালানি তেলের সংকট তৈরি হয়েছে।
শনিবার বিকালের দিকে তেজগাঁও সাতরাস্তার আকিজ ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, তারা স্টেশন বন্ধ করতে শুরু করেছেন। কর্মচারীরা জানান, নির্বাচনের দিন তারা স্টেশন বন্ধ রাখবেন। অন্যদিকে, আজ মগবাজার, মিরপুর, নীলক্ষেত ও মহাখালীর বেশিরভাগ পেট্রোল পাম্প খোলা ছিল। তবে এসব এলাকার পাম্পের মালিকরা জানিয়েছেন, আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত তারা স্টেশন বন্ধ রাখবেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ সিএনজি ফিলিং স্টেশন ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফারহান নূর বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে ফিলিং স্টেশন বন্ধ রাখার জন্য কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। কিন্তু অনেক স্টেশন মালিকই ভোটের জন্য কর্মীদের ছুটি দিয়েছেন। কর্মীরা গ্রামের বাড়ি যাবেন ভোট দিতে, এ জন্য এই ছুটি দেওয়া হয়েছে। এ হিসেবে আগামীকাল রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত অনেক সিএনজি স্টেশন বন্ধ থাকবে। তবে দুপুরের পর থেকে স্টেশনগুলো খোলা পাওয়া যাবে।’
পেট্রোল পাম্প মালিক সমিতির সভাপতি নাজমুল হক বলেন, ‘টানা পাঁচ দিন সরকারি ছুটির কারণে ব্যাংক ও ডিপো বন্ধ থাকায় অনেকে তেল তুলতে পারেনি। এ কারণে কিছুটা সংকট তৈরি হতে পারে। ছোট স্টেশনগুলোর তেলের মজুদ ফুরিয়ে যেতে পারে। কিন্তু স্বাভাবিকভাবে বেশিরভাগ পাম্প খোলা থাকবে। তবে দুপুর পর্যন্ত ভোট দিতে যাওয়ার কারণে কিছু কিছু স্টেশন বন্ধ থাকতে পারে।’
Be the first to comment