নিজস্ব প্রতিবেদক:
বাংলাদেশ এখন ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করছে জানিয়ে তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, আগামী পাঁচ বছরে প্রযুক্তিতে বাংলাদেশ কোথায় পৌঁছাবে তা পৃথিবীর কেউ আন্দাজ করতে পারে না।
বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকার সেগুনবাগিচায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে ‘সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের’ স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।
মোস্তাফা জব্বার বলেন, “আমরা এখন পৃথিবীর ৮০টি দেশে সফটওয়্যার রপ্তানি করি। শুধু তাই করি না, এখন পৃথিবীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ স্মার্টফোনটা বাংলাদেশে বানাই।”
বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন দেশে উন্নতমানের ডিভাইস রপ্তানি করা হচ্ছে জানিয়ে এক একটি উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের দেশ থেকে এক ধরনের ডিভাইস… যে ডিভাইস সেন্সর করতে পারে, আপনারা শুনে খুশি হবেন মাত্র তিন মাস আগে সৌদি আরবে বাংলাদেশ থেকে আমরা আওটি ডিভাইস রপ্তানি করেছি। একটি কোম্পানি আমাদের কাছ থেকে এই টেকনোলজি নিয়েছে।
“এই ডিভাইসের মাধ্যমে বাড়ির মালিক তার ঘরে বসে থেকে স্মার্টফোনে দেখবে তার পানির ট্যাংক খালি হয়েছে কি না, খালি হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাম্প চালু হবে। বাঙালি যে এই কাজ করতে পারবে তা সম্ভবত পৃথিবীর কেউ একাত্তর সালে কল্পনা করতে পারেনি।”
মন্ত্রী বলেন, “এসব কাজের মাধ্যমে বাংলাদেশ জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ কেবল এখন এশিয়ার টাইগারই না, বাংলাদেশ এখন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে সারা পৃথিবীর কাছে।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতির ফোরামের আয়োজনে এই আলোচনায় শিক্ষমন্ত্রী দীপু মনি বলেন, “তথ্য প্রযুক্তি নিয়ে যারা কাজ করছে সে শহুরে মানুষ, নাকি গ্রামের মানুষ, নারী না পুরুষ, সে কি বিত্তবান নাকি বিত্তহীন তা এখন আর বিবেচ্য বিষয় নয়। তথ্য প্রযুক্তি-বিজ্ঞান বৈষম্যগুলো দূর করে দিচ্ছে।
“তথ্য প্রযুক্তির জগৎ দিয়ে আমরা যেমন বিশ্ব মানব হব, একইসঙ্গে সেটি যেন আমাদের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐহিত্য রয়েছে তার সঙ্গে যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয়, তার সঙ্গে যেন যোগাযোগ থাকে, সম্পৃক্ততা থাকে। আমরা বিশ্ব মানব হতে গিয়ে আমাদের সমৃদ্ধি সেটিকে বাদ দিয়ে না চলে যাই।”
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতির ফোরামের নির্বাহী সভাপতি কণ্ঠশিল্পী ও সাংসদ মমতাজ বেগমের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী ও সংগঠনের সহ-সভাপতি মনোরঞ্জন ঘোষালসহ আরও অনেকে বক্তব্য দেন।
Be the first to comment