নিউজ ডেস্ক:
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমি পুতিনের সম্প্রতি সার্বিয়া সফরকালে বেলগ্রেডে উভয় দেশের মধ্যে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে পারস্পরিক সংক্রান্ত আন্তঃসরকারী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই চুক্তির মাধ্যমে পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের জন্য যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়নের আইনগত ভিত্তি তৈরী হলো।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি কর্পোরেশন রসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচোভ এবং সার্বিয়ার ইনোভেশন এবং টেকনোলজি উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী নিনাদ পাপোভিচ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। অনুষ্ঠানে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার ভুসিক উপস্থিত ছিলেন।
নিনাদ পাপোভিচ চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বলেন,“ আমরা আজকে আগামী বহু বছরের ধরে সার্বিয়ায় উচ্চ প্রযুক্তি উন্নয়নের একটি দৃঢ় ভিত্তি স্থাপন করছি। পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহার ব্যতিরেকে অর্থনৈতিক দক্ষতা অর্জন, কৃষি, চিকিৎসা শাস্ত্র, শিক্ষা এবং জীবনমানের উন্নয়ন অত্যন্ত কঠিন। বর্তমান চুক্তি আমাদের ঐতিহাসিক পার্টনার রাশিয়ার সঙ্গে ইনোভেশন, ডিজিটাল, বৈজ্ঞানিকস এবং প্রযুক্তি ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ এবং প্রকৃত সহযোগিতার সূচনা করলো।”
আন্তঃসরকারীর চুক্তির অধীনে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার যেসকল ক্ষেত্র চিহ্নিত করা হয়েছে তার মধ্যে আছে সার্বিয়ায় পারমাণবিক অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়ন, গবেষণার কাজে ব্যবহৃত পারমাণবিক রিয়্যাক্টরের ডিজাইন, নির্মাণ এবং আধুনিকীকরণ, নিউক্লিয়ার মেডিসিনে উন্নয়ন, পারমাণবিক শক্তি ক্ষেত্রে মৌলিক এবং ফলিত গবেষণা কার্যক্রম এবং আধুনিক ডিজিটাল টেকনোলজির উদ্ভাবন, শিল্প এবং কৃষি খাতে রেডিয়েশন প্রযুক্তির ব্যবহার এবং পারমাণবিক শিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞদের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ ইত্যাদি।
আলেক্সি লিখাচোভ তার বক্তব্যে জানান, “পারমাণবিক প্রযুক্তির ব্যবহার এবং উন্নয়নে সার্বিয়ার রয়েছে অনন্য অভিজ্ঞতা ও সম্ভাবনা। আমরা এমন কিছু প্রকল্প চিহ্নিত করেছি যাতে উভয় দেশের পেশাগত, মানবীয় এবং প্রযুক্তিগত দক্ষতা কাজে লাগানো হবে। সকল প্রকল্পগুলোই পারমাণবিক এবং রেডিয়েশন নিরাপত্তার উচ্চমান প্রতিপালন করে বাস্তবায়িত করা হবে। এক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক আনবিক সংস্থা (আইএইএ) এর দ্বারা নির্ধারিত নীতি এবং মান মেনে চলা হবে।”
আন্তঃসরকারী চুক্তি অনুযায়ী কোন বিশেষ প্রকল্প বাস্তবায়ন বা গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ তৈরী করা হবে। এছাড়াও বিশেষজ্ঞ বিনিময়, বিভিন্ন সেমিনার ও ওয়ার্কসপের আয়োজন, বিশেষজ্ঞ ও পেশাদার তৈরীতে শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ সহযোগিতা, বিভিন্ন সামগ্রী, যন্ত্রপাতি ও যন্ত্রাংশ সরবরাহ চুক্তিতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে।
Be the first to comment