রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ নির্মাণে নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ জোর

নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ম ইউনিটের ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ২০২৩ সালে এবং ২য় ইউনিটের ১২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ২০২৪ সালে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রীডে সংযুক্ত হবে। এ কেন্দ্র নির্মাণে নিরাপত্তার উপর সর্বোচ্চ জোর দেয়া হচ্ছে।
আজ শুক্রবার পাবনায় ঈশ্বরদীতে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়ন মনিটরিং কার্যক্রমের অগ্রগতির ওপর এক বিশেষ সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সভায় মুখ্য সমন্বয়ক (এসডিজি) আবুল কালাম আজাদ উপস্থিত ছিলেন।
ইয়াফেস ওসমান বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্পটি বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার প্রকল্পটি বাস্তবায়নের জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহ, উদ্যোগ, সাহস এবং দুরদর্শী সিদ্ধান্তের ফলে এ প্রকল্প আজ দৃশ্যমান।
মন্ত্রী বলেন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) এর সকল সেফটির মানদন্ড ও গাইডলাইন এবং বাংলাদেশের বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা যথাযথভাবে অনুসরণ করা হচ্ছে। এছাড়াও রাশান ফেডারেশন, আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাসহ আন্তর্জাতিক স্থানীয় ও নিজস্ব জনবলের মাধ্যমে সকল রেগুলেটরি ডকুমেন্টের কারিগরি মূল্যায়ন ও পর্যালোচনা করে বিশেষজ্ঞ মতামত গ্রহণ করে এর কার্যক্রম এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ পরমাণু থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের দেশসমূহের ক্লাবে প্রবেশ করে এবং পারমাণবিক বিশ্বকাতারে আরও একধাপ এগিয়ে গেল। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে নিরাপত্তাকে সবোর্চ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ হচ্ছে। এটি আমাদের জাতীয় আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করবে।
অনুষ্ঠানে এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আনোয়ার হোসেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.