নিজস্ব প্রতিবেদক:
এলপিজি সিলিণ্ডার ব্যবহারে সচেতনতা বাড়াতে সিলিন্ডারের ব্যবহারবিধি বিতরণ করে বিস্ফোরক পরিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে বস্তি এলাকার মানুষের মাঝে এলপিজি সিলিন্ডারের ব্যবহারবিধি বিতরণ করেন বিস্ফোরক পরিদপ্তরের প্রধান পরিদর্শক শামসুল আলম।
এসময় তিনি বলেন, বাসা-বাড়ি কিংবা হোটেল-রেস্টুরেন্টে সঠিক নিয়মে এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করলে বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
শামসুল আলম বলেন, বাজারে যেসব গ্যাস সিলিন্ডার রয়েছে, সেগুলো বিস্ফোরণের ঝুঁকি নেই। দুর্ঘটনা ঘটে গ্যাসের লিকেজ থেকে।
“এলপিজি সিলিন্ডারে গ্যাসের যে চাপ থাকে তার চেয়ে অন্তত চার গুণ বেশি চাপ ধারণ করার ক্ষমতা এই সিলিন্ডারের থাকে। ফলে এর বিস্ফোরণের ঝুঁকি একেবারেই নেই।
“তবুও বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার থেকে সৃষ্ট আগুনে অনেক দুর্ঘটনার খবর আসে। এর কারণ হচ্ছে- সঠিক নিয়মে এই সিলিন্ডার ব্যবহার না করার ফলে লিকেজের মাধ্যমে গ্যাস বেরিয়ে রান্না ঘরে জমা হয়ে থাকে।”
রান্না শেষে চুলার চাবি বন্ধ করার পর রেগুলেটরের চাবিও বন্ধ করার পরামর্শ দিয়ে শামসুল বলেন, “তা না করলে সেই সুইচ দিয়ে গ্যাস বেরিয়ে কুয়াশার মতো জমে থাকে। তখন সেখানে কেবল বৈদ্যুতিক সুইচের স্ফুলিঙ্গ পেলেও সেখানে আগুন ধরে যেতে পারে। তাই দুটি সুইচ বন্ধ করা উচিৎ।
বাংলাদেশে বর্তমানে ৬০ লাখের বেশি গ্রাহক এলপিজি সিলিন্ডার ব্যবহার করছে। বাজারে বসুন্ধরা, যমুনা, বেক্সিমকোসহ মোট ১৭টি কোম্পানির অন্তত দুই কোটি সিলিন্ডার রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিস্ফোরক পরিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
প্রচারের সময় লাউড স্পিকারে এসব সচেতনতামূলক বক্তব্য দেন বিস্ফোরক অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মোহাম্মদ শের আলীসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment