নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্থলভাগে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) টার্মিনাল স্থাপনের জন্য এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেন্ট (ইওআই) বা আগ্রহ পত্র দিয়েছে রূপান্তরিত প্রাকৃতিক গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (আরপিজিসিএল)। মাতারাবাড়িতে তারা এই টার্মিনাল করতে চায়।
এর আগে গত বছর মহেশখালীতে ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানি এক্সিলারেট একটি ভাসমান টার্মিনাল স্থাপন করেছে। সেই টার্মিনাল থেকে বর্তমানে ৩০০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস চট্টগ্রামে সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া একই জায়গায় সামিট গ্রুপ আরো একটি ভাসমান টার্মিনাল স্থাপনের কাজ করছে। চলতি বছরের এপ্রিলের মধ্যে এই টার্মিনাল থেকে এলএনজি সরবরাহের কথা রয়েছে।
গতবছর ২৪ এপ্রিল এলএনজির ভাসমান টার্মিনালটি কাতার থেকে বাংলাদেশে নিয়ে আসে এক্সিলারেট এনার্জি। এরপর গত ১৮ আগস্ট প্রথমবারের মতো এলএনজি সরবরাহ শুরু করা হয়।
আরপিজিসিএল এর একজন কর্মকর্তা জানান, এই আগ্রহপত্রের মাধ্যমে বিদেশি আগ্রহী কোম্পানিরা বাংলাদেশে ল্যান্ডবেইজ টার্মিনাল স্থাপনের আগ্রহ দেখাতে পারবে। যদি অনেকগুলো কোম্পানি আগ্রহ দেখায় তখন আমরা তাদের দরপ্রস্তাব আহ্বান করবো। দরপ্রস্তাব মূল্যায়ন করেই টার্মিনাল স্থাপনের কাজ দেয়া হবে। তিনি বলেন, এটি ল্যান্ডবেইজ টার্মিনাল স্থাপনের প্রাথমিক পদক্ষেপ। বিদেশি অভিজ্ঞ কোম্পানি আগ্রহ দেখালেই কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
আরপিজিসিএল জানায়, এই আগ্রহপত্রের মাধ্যমে নকশা, প্রযুক্তি, দরপ্রস্তাব, নির্মাণ ও টার্মিনাল পরিচালনার বিষয়ে আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে জানাতে হবে। ল্যান্ডবেইজ এই টার্মিনালের মাধ্যমে কোম্পানিকে কমপক্ষে ৭ দশমিক ৫ মিলিয়ন টন এলএনজি আমদানি, পরিচালনা, মজুদ এবং রি গ্যাসিফিকেশনের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। ২০ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পে অর্থ সংস্থানও সেই কোম্পানিকেই করতে হবে।
আগ্রহপত্র অনুযায়ী, ২০২৩ সালের মধ্যে এই টামিনাল স্থাপনের কাজ শেষ করতে হবে। আগামী ২০ মাচের মধ্যে কোম্পানিকে আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে।এরপর কোম্পানিগুলোর আগ্রহপত্র যাচাই বাছাই করে আগামী ২৯ আগস্টের মধ্যে তালিকা করা হবে। এরপরই চূড়ান্ত আলোচনা ও দরপ্রস্তাব দেখে যোগ্য কোম্পানিকে কাজ দেয়া হবে।
Be the first to comment