নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেডের (জিটিসিএল) সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাবকে বেআইনি বলেছেন জ্বালানি বিশেষজ্ঞ শামসুল আলম। তিনি বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বছরে একবারের বেশি দাম বাড়াতে পারে না বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এ অবস্থায় তিন মাসের ব্যবধানে দ্বিতীয়বারের মতো চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারে না।’
আজ সোমবার (১১ মার্চ) রাজধানীর কাওরানবাজারে টিসিবি অডিটরিয়ামে জিটিসিএলের সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাবের ওপর অনুষ্ঠিত গণশুনানিতে শামসুল আলম এসব কথা বলেন।
এ সময় কমিশনের চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম, সদস্য মিজানুর রহমান, মাহমদউল হক ভুইয়া এবং আব্দুল আজিজ খান উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর সঞ্চালন চার্জ প্রতি ঘনমিটারে শূন্য দশমিক ২৬৫৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে শূন্য দশমিক ৪২৩৫ টাকা করে কমিশন। চার মাসের মাথায় জিটিসিএল আবারও সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। জিটিসিএল ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য চার্জ শূন্য দশমিক ৫৬৬৫ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য শূন্য দশমিক ৫৬৭৬ টাকা করার প্রস্তাব করছে। এর বিপরীতে কমিশনের মূল্যায়ন কমিটি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জন্য শূন্য দশমিক ৪৬৩৬ টাকা এবং ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য শূন্য দশমিক ৪৯৭২ টাকা নির্ধারণ করার সুপারিশ করছে।
শামসুল আলম বিইআরসি আইনের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেন, ‘আইনের ২(ঝ) উপধারা ও ৩৪(৫) উপধারা মতে, একবার দাম বৃদ্ধির গণশুনানির পর এক বছর অতিবাহিত না হলে আর দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই। গত বছরের এপ্রিলে গণশুনানি নেওয়া হয়। এখনও এক বছর পূর্ণ হয়নি, তাই এই শুনানির কোনও আইনগত বৈধতা আমি দেখছি না।’ তিনি বলেন, ‘জিটিসিএল আবেদন করলেও সেটি গ্রহণ করার কোনও যৌক্তিক কারণ সেই কমিশনের হাতে।’ এছাড়া এপ্রিলে উচ্চমূল্যের আরও ৫০০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি আসবে তার ভিত্তিতে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বিইআরসির আইনের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। ভোক্তার ঘরে পৌঁছে দেওয়ার আগে কোনোভাবেই দাম বাড়ানোর সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গণশুনানিতে অধ্যাপক নুরুল ইসলাম বলেন, ‘জ্বালানি সেক্টরের চুরি খুবই বড়। চুরি ঠেকাতে না পারলে ভালো কিছু সম্ভব নয়। বিইআরসি খুচরা দাম নির্ধারণ করে। বাল্ক প্রাইস নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়।’
জিটিসিএল এর সঞ্চালন চার্জ বাড়ানোর প্রস্তাব বেআইনি
বিইআরসির গণশুনানি
Be the first to comment