ঝড়ে গাছ পড়ে বিদ্যুতের লাইন ক্ষতিগ্রস্ত, অনেক এলাকা বিদ্যুৎহীন

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝড়ের কারনে গাছ পড়ে রাজধানী সহ দেশের বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুতের তার ছিড়ে গেছে। এতে এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। এদিকে চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রথমে বন্ধ হয়ে যায় রাজধানীর চারটি সাবস্টেশন। এরপর একই কারনে বন্ধ হয় দেশের তিনটি বিদ্যুৎকেন্দ্র৷ সন্ধ্যায় হঠাৎ বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন গ্রাহকরা।
তবে রাত দশটা নাগাদ অনেক এলাকা বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসে।
রোববার সন্ধ্যায় ঝড় শুরুর কিছুক্ষণ পড়েই রাজধানীর ধানমণ্ডি, শুক্রাবাদ, পান্থপথ, কলাবাগান, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার আশপাশ, আজিমপুর, লালবাগ, মগবাজার, মৌচাক, মাতুয়াইলসহ বেশ কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ চলে গিয়ে আঁধার নেমে আসে। বজ্রচেরা আলোয় এ সময় এসব এলাকা ভুতুড়ে হয়ে ওঠে।
ঢাকা বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির (ডিপিডিসি) পরিচালক (অপারেশন) হারুন উর রশীদ বাংলা ট্রিবিউনকে জানিয়েছেন, ঝড়ে রাজধানির বেশ কিছু এলাকায় গাছ পড়ে তার বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এই কারনে ধানমণ্ডি, লালবাগ, মগবাজার ও মাতুয়াইল এলাকার চারটি ১৩২ কেভি গ্রিড লাইন বন্ধ হয়ে যায়। এর ফলে এসব এলাকাসহ আশপাশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে।
তিনি জানান, এসব এলাকার গ্রিড চালু করার চেষ্টা চলছে। মেরামতের কাজ চলছে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক করতে আরও এক থেকে দেড়ঘণ্টা সময় লাগতে পারে। ফলে কোথাও কোথাও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে রাত এগারোটা বেজে যেতে পারে।
এদিকে ধানমণ্ডির বাসিন্দা সুজন আহমেদ জানান, ঝড় শুরুর পর পর বিদ্যুৎ চলে যায়৷ স্থানীয় বিদ্যুৎ অফিসে ফোন দিয়ে শুনলাম, তারের উপর গাছ পড়েছে।তারা মেরামতের চেষ্টা করছে।
মধুবাগ থেকে মৃত্তিকা সাহা জানান, সন্ধ্যায় ঝড়ের সময় বিদ্যুৎ গেলেও আধা ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুৎ চলে এসেছে।
শান্তিনগর থেকে নাজমা আক্তার জানান, সন্ধ্যায় ঝড় শুরুর পর পর বিকট শব্দ হয় আর বিদ্যুৎ চলে যায়। পরে খোজ নিয়ে জানা যায় যে, এলাকার ট্রান্সফরমার বাস্ট হয়েছে। রাত সাড়ে নয়টার দিকে বিদ্যুৎ এসেছে বলে তিনি জানান।
এদিকে পিডিবির সদস্য (জনসংযোগ) সাইফুল ইসলাম চৌধুরি জানান, ঢাকায় ধানমন্ডিতে গাছ পড়ে তার ছিড়ে যায়। এছাড়া সিলেট ও কুমিল্লায়ও একইভাবে গাছ পড়ে তার ছিড়েছে বেশ কয়েকটি এলাকায়। এসব এলাকায় বিদ্যুৎ না থাকায় বিদ্যুতের ডিমান্ড কমে যায়। এতে হরিপুর বিদ্যুৎকেন্দ্র, শিকলবাহার একটি ইউনিট এবং আশুগঞ্জের একটি ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। পরে শিকলবাহা চালু করা হলেও আর দুইটা ডিমান্ড না থাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে। মূলত ঝড় বৃষ্টির কারনে লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ডিমান্ড কমে গেছে। ফলে উৎপাদনও কমে গেছে। উৎপাদম ক্ষমতা আছে। কিন্তু ডিমাণ্ড না থাকায় কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে।
শেষ খবর পাওয়া পযন্ত,অনেক এলাকায় বিদ্যুৎ এলেও, কিছু এলাকায় লাইন ঠিক করা না যাওয়ায় বার বার বিদ্যুৎ বিভ্রাটেত কারণে প্রায় সারারাত ভোগান্তির শিকার হয় গ্রাহক।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.