নিজস্ব প্রতিবেদক:
৪ জুলাই থেকে দুই সপ্তাহে ৮১ প্রকৌশলীসহ ৬৮০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড। এর মধ্যে সিবিএ নেতা ও কর্মচারী ৫০৭ জন।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) তিতাস বোর্ডের অ্যাকশন প্ল্যানের আওতায় দফায় দফায় বদলি করা হয়েছে প্রকৌশলীসহ ১১৭ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে।
জানা গেছে, বদলিকৃত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনেকে ৪ থেকে ২৫ বছর ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিতরণ এলাকার একই অফিসে কাজ করে আসছিলেন। অভিযোগ আছে, একই কর্মস্থলে বছরের পর বছর থাকায় তারা শক্তিশালী ঘুষ-দুর্নীতির সিন্ডিকেটে জড়িয়ে পড়েছিলেন।
সম্প্রতি এ ব্যাপারে একটি প্রতিবেদন দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এরপর জ্বালানি বিভাগের আদেশে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শুরু করে তিতাস।
তিতাস গ্যাস সূত্র জানায়, ৪ জুলাই থেকে এ বদলি শুরু হয়েছে। ওই দিন বদলি করা হয় ১৮৭ জনকে। এরপর ৭ জুলাই ১৩৩ জনকে বদলি করে তিতাস। এর আগে এত বেশিসংখ্যক কর্মীকে একসঙ্গে বদলি করার নজির নেই প্রতিষ্ঠানটিতে।
সম্প্রতি দুদক জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের কাছে পাঠানো এক প্রতিবেদনে জানায়, তিতাসের কর্মীরা একই কর্মস্থলে অনেক দিন কাজ করে সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন।
এর আগে এপ্রিলে তিতাসের অপেক্ষাকৃত উপরের সারির কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটির কাঠামোর বাইরে গঠিত ১৮টি ভিজিল্যান্স টিম বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়। এবার মধ্যম শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর কর্মস্থল বদলে দিল প্রতিষ্ঠানটি।
তিতাস বলছে, দুদকের প্রতিবেদন ধরে ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়েছে। এর আগে ট্রুথ কমিশনে যাওয়া ব্যক্তিদের নামের তালিকা পাঠানো হয়েছে জ্বালানি বিভাগে। এরপর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেন দুর্নীতি করতে না পারে সে বিষয়ে নজর রাখা হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কারের অংশ হিসেবেই এই বদলি করা হচ্ছে বলে তিতাসের প্রশাসন বিভাগের এক কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন।
Be the first to comment