নিজস্ব প্রতিবেদক :
আগামী ৩০ মে’র মধ্যে ঢাকার নির্দিষ্ট কিছু এলাকা থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণ না করলে ইন্টারনেট এবং ডিশ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর অফিসের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানী থেকে ঝুলন্ত তার অপসারণ বিষয়ক এক বৈঠকে জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এই নির্দেশনা দেন। একই সঙ্গে সিসি ক্যামেরা এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডকে নগরীর বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন থেকে সরিয়ে নিতে স্বরাষ্ট্র এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে।
বৈঠক সূত্র জানায়, মহাখালী ডিওএইচএস, গুলশান সোসাইটি-নিকেতন, মতিঝিল, বনানী ও কাওরানবাজার এলাকায় মে মাসের ৩০ তারিখের মধ্যে ঝুলন্ত তার অপসারণ করতে হবে। এই এলাকায় ইতোমধ্যে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল বসানোর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, অন্য উন্নত দেশের শহরগুলোর মতো আমাদের দেশের শহরও হবে তারবিহীন। তিনি ‘ঢাকা মহানগরীর রাস্তার পাশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঝুলন্ত তার ও বিতরণ লাইনকে ভূগর্ভস্থ করা’র বিষয়ে সভায় এ নির্দেশ দেন। এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুতের খুঁটিতে বিভিন্ন সংস্থার ঝুলন্ত তার নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘœ ঘটাচ্ছে। শহরের সৌন্দর্য্যহানি করছে। প্রধানমন্ত্রীর রূপকল্প-২০৪১ অনুসারে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। দেশের শহরগুলো উন্নত দেশের মতোই হতে হবে। তাই দ্রুত ওভারহেড তার ভূগর্ভস্থ করা প্রয়োজন। বিতরণ সংস্থাগুলোকে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, আগামী ১ মাসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কমিটি নতুন ৫টি জোন নির্ধারণ করবে। যেখান থেকে দ্রুত ঝুলন্ত তার অপসারণ করা হবে। এ সময় তিনি দ্রুত কাজ করে ঢাকা শহরের সৌন্দর্য্যবৃদ্ধিতে সকলের সহায়তা চান।
সভায় বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন যেখানে আন্ডারগ্রাউন্ড ক্যাবল বসানোর কাজ হাতে নেয়া হবে সেখানে অন্য ওভারহেড ক্যাবল অপারেটকারী সংস্থা/সমিতির সঙ্গে যোগাযোগ রেখে তাদের ক্যাবলও একই সঙ্গে ভূগর্ভস্থকরণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার নির্দেশনাও দেয়া হয়। এ সময় অন্যদের মাঝে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. সুলতান আহমেদ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আবুল মনসুর, বিতরণ সংস্থাসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, রেলপথ মন্ত্রণালয়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার বিভাগ, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, বিটিআরসি, সড়ক ও জনপথ অধিদফতর, স্থাপত্য অধিদফতর, ঢাকা সিটি কর্পোরেশন (উত্তর/দক্ষিণ), নগর উন্নয়ন অধিদফতর, আইএসপিএবি, সামিট কমিউনিকেশন, ফাইবার এট হোম, সাইবার ক্যাফে ওনার্স এ্যাসোসিয়েশন, ডিপার্টমেন্ট অব টেলিকমিউনিকেশন (ডিওটি)- এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment