বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পাঁচ কোম্পানিকে শেয়ার বাজারে আসার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পুঁজিবাজারে ভালো কোম্পানির শেয়ারের সরবরাহ বাড়ানোর উদ্যোগ হিসেবে জ্বালানি খাতের সরকারি পাঁচ কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ রোববার (২ ফেব্রুয়ারি) শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা জানান অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। যেখানে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের মুখ্য সচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সিনিয়র সচিব, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) চেয়ারম্যান, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব ও বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ছাড়াও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের ১৪ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
যে পাঁচ কোম্পানি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হবে সেগুলো হচ্ছে নর্থওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি, ইলেকট্রিসিটি জেনারেশন কোম্পানি অব বাংলাদেশ লিমিটেড (ইজিসিবি), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড, বি-আর পাওয়ারজেন লিমিটেড (বিআরপিএল) ও গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানি লিমিটেড (জিটিসিএল)। এর বাইরে তালিকাভুক্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল) ও পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের সরকারি অংশের আরও শেয়ার ছাড়া হবে।
আজ ‘সরকারি মালিকানাধীন লাভজনক কোম্পানিগুলোর শেয়ার পুঁজিবাজারে অফলোড করার বিষয়ে আলোচনা শেষে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, পুঁজিবাজার চাঙ্গা করতে শিগগিরই পুঁজিবাজারে শেয়ার ছাড়বে সাতটি লাভজনক সরকারি প্রতিষ্ঠান। এর পাশাপাশি আরও সরকারি প্রতিষ্ঠান পুঁজিবাজারে আসা উচিত। বাজার চাঙ্গা করতে কোম্পানিগুলো টেকসই করতে হবে। প্রথমে প্রতিটি কোম্পানির ব্যালান্সশিটগুলো আমাদের বিশ্লেষণ করতে হবে। এখন থেকে ১০ বছর আগের সম্পদের মূল্য, আর এখনকার মূল্য এক নয়। এখন বর্তমান দরে এগুলো আমাদের পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে। পুনর্মূল্যায়ন করতে যে সময় লাগবে সেই সময় কোম্পানিগুলোকে দিতে হবে এবং এ জন্য দুই মাসের মতো সময় লাগতে পারে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পদ পুনর্মূল্যায়নের ভিত্তিতেই সরকারি কোম্পানিগুলোর শেয়ারের মূল্য নির্ধারণ করা হবে। এরপর ধীরে ধীরে এসব কোম্পানির ১০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ারবাজারে ছাড়া হবে। দুই মাসের মধ্যেই কোম্পানিগুলো আমাদের তথ্য দেবে। বাইরের বিভিন্ন নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান দিয়ে সম্পদের মূল্যায়ন করা হবে। আইসিবি অথবা অন্য বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরকারি কোম্পানিগুলোর ইস্যু ম্যানজার হিসেবে কাজ করতে পারে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.