নিজস্ব প্রতিবেদক :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা সূচকে বাংলাদেশ ৭৩তম স্থান থেকে ৮ ধাপ এগিয়ে ৬৫তম স্থানে উন্নীত হয়েছে। ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে বিশ্বের সাইবার সিকিউরিটি সার্ভিস প্রোভাইডিং হাব হিসেবে গড়ে তোলা হবে। তিনি বলেন, ‘দেশে ৫ বছরে এক হাজার সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট তৈরি করা হবে।’ বিভিন্ন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে তরুণ মেধাবিদের সেভাবে তৈরি করা হবে বলে তিনি জানান।
আজ মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের আইসিটি টাওয়ারে আইডিয়া ফ্লোর মিলনায়তনে সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্যে আয়োজিত ‘জাতীয় সাইবার ড্রিল-২০২০’ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২০’ উপলক্ষে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
পলক দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সাইবার সিকিউরিটি অত্যন্ত জরুরি উল্লেখ করে বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তিগত সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতে আইসিটি বিভাগ কাজ করছে। দেশের ব্যাংকিং, হেলথ, সিভিল এভিয়েশনসহ বিভিন্ন সেক্টরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী ৫ বছরে দেশে এক হাজার সাইবার সিকিউরিটি এক্সপার্ট তৈরি করা হবে। এর মাধ্যমে সাইবার সিকিউরিটিতে বাংলাদেশের মেধাবি সাইবার নিরাপত্তা কর্মীরা বিশ্বে অবদান রাখার পাশাপাশি নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশে বসেই বৈদেশিক মুদ্রা আয় করবেন।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মিশনে অবদান রাখার মতো আগামীতে বিশ্বকে সাইবার ঝুঁকিমুক্ত রাখবে বাংলাদেশ।’
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি’র মহাপরিচালক মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থপ্রতিম দেব, বিজিডি ই-গভ সার্টের প্রকল্প পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহ, ওরাকল বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবাবা দৌলা।
Be the first to comment