নিজস্ব প্রতিবেদক :
সারাদেশে অভিন্ন তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম নির্ধারণ করতে চায় এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। কমিশন গঠিত কারিগরি কমিটি বৃহস্পতিবার এলপিজির মূল্য নির্ধারণের গণশুনানিতে প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৭২ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। এতে সরকারী এলপিজির দাম এক লাফে ৩০০ টাকা বাড়িয়ে ৯০০ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছে। এই দাম সরকারী এলপি গ্যাস কোম্পানির প্রস্তাবের চেয়েও ২০০ টাকা বেশি। অন্যদিকে বেসরকারী বিপণন কোম্পানির এলপিজি প্রতি বোতলের দাম ৮৬৬ টাকা করা হয়েছে।
কমিশনের দাম বৃদ্ধির ইতিহাসে এই প্রথমবার কারিগরি কমিটি এমন উদ্ভট সুপারিশ করলো। সাধারণত কমিশন আইন অনুযায়ী সরকারী গ্যাস এবং বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলো ব্রেক ইভেনে (লাভ ক্ষতির সমতা বিন্দু) তে চলার মতো আর্থিক সংস্থান করে দেয়। কিন্তু এবার সেই ধারা থেকে বের হয়ে এক লাফে ৬০০ টাকার এলপিজির দাম ৯০০ টাকা নির্ধারণের সুপারিশ করেছে। একই সঙ্গে প্রতিমাসে এলপিজির দাম নির্ধারণের সুপারিশ করেছে কারিগরি কমিটি।
সারাদেশে সরকারী এলপিজি বিক্রি হয় সাড়ে ১২ কেজির বোতলে আর বেসরকারী এলপিজি বিক্রি হয় ১২ কেজির বোতলে। সেই হিসেবে সাড়ে ১২ কেজির সরকারী এলপিজির দাম পড়বে ৯০২ টাকা আর ১২ কেজির বেসরকারী এলপিজির বোতল প্রতি দাম পড়বে ৮৬৬ টাকা।
মূল্য নির্ধারণের প্রস্তাবে সরকারী কোম্পানি ৬০০ টাকা থেকে বেড়িয়ে ৭০০ টাকা করার প্রস্তাব করেছিল। বেসরকারী কোম্পানিগুলোর কমিয়ে এক হাজার ২৬৯ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করে। তবে একটি বেসরকারী কোম্পানি তাদের এলপিজির দাম বোতল প্রতি এক হাজার ২৪ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করে।
বিইআরসির মূল্যায়ন কমিটি বলছে এই সরকারী এলপিজির দাম বাড়িয়ে যে ৩৩৩ টাকা ২৪ পয়সা পাওয়া যাবে সেটি একটি ভর্তুকি তহবিলে জমা রাখা হবে। এই অর্থ সরকার জ্বালানি খাতের ভর্তুকিতে কাজে লাগাবে। কিন্তু গ্রাহকের কাছ থেকে এভাবে ভর্তুকির টাকা তোলার নজির নেই অথবা আইনগত বাধাও রয়েছে বলে কমিশনের শুনানিতে সতর্ক করা হয়েছে।
Be the first to comment