নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরæল হামিদ বলেছেন, করোনা ভাইরাস-এর প্রতিষেধক টিকা সংরক্ষণের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত করতে হবে। নিয়মিত সোর্সের পাশাপাশি বিকল্প সোর্স হতে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা রাখা আবশ্যক। তাছাড়া স্ট্যান্ডবাই জেনারেটরের ব্যবস্থাও রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) অনলাইনে নভেল করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা সংরক্ষণ স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করতে বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানিগুলোর সাথে কর্মপরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
টিকা সংরক্ষণ ও প্রদানের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত সংক্রান্ত সার্বিক বিষয় সমন্বয় করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ হতে যুগ্মসচিব রেজওয়ানুর রহমান ও উপসচিব তাহমিনা ইয়াসমিন-কে ফোকাল পয়েন্ট করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় প্রশাসন ও স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে সমন্বয় করে কর্মপন্থা নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোন অবস্থাতেই বিদ্যুৎ বিভ্রাট যেন না ঘটে। এমনকি বিতরণ যন্ত্রাদি, ট্রান্সফরমার, কন্ডাক্টর, ক্যাবল, ফিউজ প্রভৃতি সম্পর্কে পূর্ব থেকেই সচেতন হতে হবে। যে সকল প্রতিষ্ঠানের বা হাসপাতালের নিজস্ব জেনারেটর রয়েছে সেগুলোকেও সচল রাখতে তৃতীয় বা চতুর্থ বিকল্প হিসেবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। করোনা ভাইরাসের প্রতিষেধক টিকা সংরক্ষণ ও প্রদানের স্থানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নিশ্চিত সংক্রান্ত বিষয় সমন্বয় করার জন্য এ সময় তিনি বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষ থেকে ফোকাল পয়েন্ট নির্ধারণের নির্দেশ দেন।
আলোচনাকালে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি)-এর চেয়ারম্যান প্রকৌশলী বেলায়েত হোসেন, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি)-এর চেয়ারম্যান মে.জে. মঈন উদ্দিন (অব.), ঢাকা ইলেক্ট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি: (ডেসকো)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাওসার আমির আলী, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি: (ডিপিডিসি)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী বিকাশ দেওয়ান, নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লি: (নেসকো)-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকিউল ইসলাম নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের গৃহীত কর্মপন্থা উপস্থাপন করেন।
ভার্চুয়াল এই সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব মো. হাবিবুর রহমান সংযুক্ত থেকে বক্তব্য রাখেন।
প্রসঙ্গত, আজ ভারত থেকে উপহার হিসেবে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের টিকা পেয়েছে বাংলাদেশ। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা উদ্ভাবিত ও দেশটির সেরাম ইনস্টিটিউট প্রস্তুতকৃত ২০ লাখ করোনার টিকা বাংলাদেশকে দিয়েছে ভারত। আজ বৃহস্পতিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুর দেড়টার দিকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় ভারতের রাষ্ট্রদূত বিক্রম দোরাইস্বামী এক অনুষ্ঠানে এই টিকা হস্তান্তর করেন।
এর আগে টিকা নিয়ে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি উড়োজাহাজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে।
বিমানবন্দর থেকে দুটি ফ্রিজার ভ্যানে করে টিকার বাক্স নিয়ে যাওয়া হয় তেজগাঁওয়ে ইপিআই স্টোরেজে। সেখান থেকে কিছু টিকা নিয়ে আসা হয় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায়।
Be the first to comment