স্পোর্টস ডেস্ক :
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথমদিনে প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি বাংলাদেশ। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দিন শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ২৪২ রান করেছে টাইগাররা।
ওভারপ্রতি রানরেট ছিল মাত্র ২.৬৮। অপরদিকে রিভিউ না নিয়ে আউট হয়ে ফিরে গেছেন দারুণ ব্যাটিংয়ে ফিফটি পাওয়া সাদমান ইসলাম।
দিন শেষে সাকিব আল হাসান ৯২ বলে ৪টি চারের সাহায্যে ৩৯ রানে অপরাজিত আছেন। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়ে ৩৪ রানে মাঠ ছেড়েছেন অপরাজিত লিটন দাশ তিনি ৫৮ বলে ৬টি চারে নিজের ইনিংস সাজান। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ দুজনে অবশ্য ৯৫ বলে ৪৯ রান করেছেন। দ্বিতীয় দিন তাদের ব্যাটিংয়ের ওপরই নির্ভর করছে বাংলাদেশের ইনিংস।
এর আগে সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ৫৯ রানের জুটি গড়েছিলেন মুশফিকুর রহিম। ক্রিজে সেট হয়ে ছুটছিলেন ফিফটির পথেও। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৮ রানেই ফিরতে হলো এই ডানহাতি ব্যাটসম্যানকে। তবে সাকিব-লিটনের ব্যাটে লড়াই জারি রাখে বাংলাদেশ। এরপরেই স্বাগতিকদের রান ২০০ ছাড়ায়।
ওয়ারিক্যানের ফুলারে ডিফেন্ড করেছিলেন মুশফিক। কিন্তু বল তার ব্যাট ছুঁয়ে জমা হয় ফার্স্ট স্লিপে থাকা রাকিম কর্নওয়ালের হাতে।
বুধবার (০৩ ডিসেম্বর) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক। শুরুতে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৩ রানে তামিম ইকবালের উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। ক্যারিবীয় ফাস্ট বোলার কেমার রোচের করা ইনিংসের পঞ্চম ওভারে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন বাঁহাতি ওপেনার।
রোচের লেন্থ বলে শট খেলতে এগিয়ে এসেছিলেন তামিম। কিন্তু দ্রুতগতির বল তার ব্যাট ও প্যাডের ফাঁক গলে স্ট্যাম্প ভেঙে দেয়। আউট হওয়ার আগে বাংলাদেশের হয়ে টেস্টের সর্বাধিক রান সংগ্রাহক বনে যান তামিম। পেছনে ফেলেন মুশফিকুর রহিমকে। তামিমের রান ৪৪১৪। মুশফিকের ছিল ৪৪১৩। তবে এই ম্যাচেই মুশফিক (৪৪৫১ রান) তাকে ছাড়িয়ে গেছেন।
তামিমের বিদায়ের পর ক্রমেই গুছিয়ে উঠতে থাকা বাংলাদেশ হারায় দ্বিতীয় উইকেট। ওপেনার সাদমানের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটের শিকার হন নাজমুল হোসেন শান্ত (২৫)। এরপরই হাল ধরেন সাদমান ও মুমিনুল। প্রথম সেশন শেষে ২ উইকেট হারিয়ে ৬৯ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ। বিরতির পর ফিরে এসে দলকে পার করিয়ে দেন ১০০ রানের কোটা।
মুমিনুল অবশ্য ইনিংস বড় করতে পারেননি। ওয়ারিক্যানের বলে জন ক্যাম্পবেলের হাতে ক্যাচ তুলে দিলে শেষ হয় তার ২৬ রানের ইনিংস। এরপর ফিফটি করে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাদমান। ওয়ারিক্যানের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন তিনি। যদিও রিপ্লেতে দেখা গেছে বল স্ট্যাম্পের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যেত। কিন্তু রিভিও না নেওয়ায় কপাল পোড়ে তার। তবে যাওয়ার আগে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটি পেয়েছেন ২৫ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান। তার ১৫৪ বলে ৫৯ রানের ইনিংসটি সাজানো ছিল ৬ চারে।
ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে জোমেল ওয়ারিক্যান সর্বোচ্চ ৩টি উইকেট নেন। এছাড়া কেমার রোচ একটি উইকেট পান।
Be the first to comment