নিজস্ব প্রতিবেদক :
গ্যাসের অবৈধ সংযোগ দিন দিন বেড়ে যাচ্ছে।এর পেছনে তিতাসসহ সরকারের গ্যাস কোম্পানিগুলোর একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীর সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠেছে সংসদীয় কমিটিতে। এদিকে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন কাজে ধীরগতির জন্যও একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারীকে দায়ী করা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির ১৭তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। কমিটি প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের কাজ দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার পাশাপাশি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশনা দিয়েছে। এক্ষেত্রে কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তিবর্গের সংশ্লেষ থাকলেও ছাড় না দিতে পরামর্শ দেওয়া হ।
কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকারের সভাপতিত্বে জাতীয় সংসদ ভবনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. আবু জাহির, মো. নূরুল ইসলাম তালুকদার, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, মোছা. খালেদা খানম, বেগম নার্গিস রহমান এবং মো. নুরুজ্জামান বিশ্বাস অংশ নেন।
বৈঠক সূত্র জানায়, অবৈধ গ্যাস সংযোগের পেছনে বিভিন্ন সময়ে সংসদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত থাকার প্রসঙ্গটিও বৈঠকের আলোচনায় উঠে আসে। কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট আবু জাহির প্রসঙ্গটি তোলেন বলে জানা গেছে। এক্ষেত্রে কোনও জনপ্রতিনিধিকেও যেন ছাড় না দেওয়া হয়, সেই পরামর্শ দেন তিনি।
বৈঠকে গ্যাসের বকেয়া বিল আদায়ে আরও তৎপর হওয়ার পাশাপাশি আগামী বৈঠকে কমিটি ২০০১ থেকে ২০২০ পর্যন্ত গ্যাসের বকেয়া বিলের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সুপারিশ করে।
গ্যাসের বকেয়া বিল বন্ধে প্রিপেইড মিটার সংযোগ দ্রুততম সময়ে চালু করার ব্যাপারে কমিটি থেকে জোর সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্ত, পেট্রোবাংলা, তিতাস গ্যাস টি অ্যান্ড ডি কোম্পানি লিমিটেড, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment