নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রাহকের দরজায় সেবা দিতে ১২ দিনব্যাপী মিনিট্রাকে করে বিদ্যুৎ সেবা দেবে ডিপিডিসি। তাৎক্ষণিকভাবে দেওয়া সম্ভব এমন সব ধরনের সেবা দেয়া হবে সেখান থেকে। মানুষ নতুন সংযোগের আবেদন করলে যাচাই-বাছাই করে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আবার কোনও কোনও ক্ষেত্রে কারও অভিযোগ থাকলে সেগুলোর সুরাহা করা হবে। একইসঙ্গে ভেন্ডিং মেশিন থাকবে। মানুষ চাইলে এখান থেকে প্রিপেইড মিটারে রিচার্জ করতে পারবেন। এছাড়া লোড বৃদ্ধি, মিটার পরিবর্তন, ভুল সংশোধনসহ সব ধরনের সেবা দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) রাজধানীর বিদ্যুৎ ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকাশ দেওয়ান এসব কথা বলেন। এ সময় কোম্পানিটির সচিব মো. আসাদুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক (অর্থ) মো. গোলাম মোস্তফা, নির্বাহী পরিচালক (প্রকৌশল) গিয়াস উদ্দিন জোয়ার্দার উপস্থিত ছিলেন।
বিকাশ দেওয়ান বলেন, ‘এবার গ্রীষ্মে আমাদের অধীন এলাকায় গ্রাহকের বিদ্যুতের চাহিদা এক হাজার ৯০০ মেগাওয়াট। লোডশেডিং যাতে না হয় সে জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা আমরা নিয়েছি। তবে একেবারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পেতে ২০২৪ সাল পর্য ন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ জন্য আমরা যেসব প্রকল্প হাতে নিয়েছি তার বেশিরভাগই ওই সময় শেষ হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গ্রাহকের দরজায় সেবা পৌঁছে দিতে আগামী ১২ দিন আমাদের ৩৬টি জোনে ভ্রাম্যমাণ ট্রাক নিয়ে যাচ্ছি। এই ট্রাক থেকে গ্রাহক তাদের সব ধরনের সেবা পাবেন। এই ট্রাক নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে আমরা দুইটি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছি, তা হলো: বিদ্যুৎ থেকে যেসব দুর্ঘটনা ঘটে সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন করা এবং ডিপিডিসির কাজগুলো যেন অনলাইনে করা যায়, দালালের যেন প্রয়োজন না হয়।’
ডিপিডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক জানান, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিবর্ষ উপলক্ষে ভ্রাম্যমাণ এই সেবা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি বৈদ্যুতিক দুর্ঘটনা রোধে জনগণকে সচেতন করার প্রচারণা এবং অনলাইনে গ্রাহক সেবার বিষয়টিও তুলে ধরা হচ্ছে। এই সেবা ১৮ মার্চ থেকে শুরু করে ১ এপ্রিল পর্যন্ত ডিপিডিসি’র আওতাভুক্ত বিভিন্ন স্থানে দেওয়া হবে। শুক্রবার ছাড়া ১২ দিন দেওয়া হবে এ সেবা। তবে সাড়া পেলে সময় আরো বাড়ানো হতে পারে।
ডিপিডিসির ভ্রাম্যমাণ এই সেবার স্থান ও তারিখ সম্পর্কে জানা যাবে www.dpdc.org.bd. ঠিকানায়।
প্রসঙ্গত, ভ্রাম্যমাণ বিদ্যুৎ সেবার এই চিন্তা প্রথম শুরু করেছিল পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলায় একজন বিদ্যুৎকর্মী নিজ উদ্যোগে ভ্যান নিয়ে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মাত্র ৫ মিনিটে বিদ্যুৎ সংযোগ লাগিয়ে দেওয়ার কাজটি শুরু করেছিলেন। দেশব্যাপী এই উদ্যোগ প্রশংসা কুড়ালে তার ডাক পড়ে ঢাকাতে। খোদ বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার সঙ্গে দেখা করে এই উদ্যোগের প্রশংসা করেন। এরপর সারাদেশে আলোর ফেরিওয়ালা নামে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার কাজ শুরু করেছিল আরইবি। একটু দেরিতে হলেও শহরে এই সেবার দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হলো।
Be the first to comment