শেষ হলো রূপপুর বিদ্যুৎকেন্দ্রে চুল্লির হাইড্রলিক টেস্ট

নিজস্ব প্রতিবেদক:

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের চুল্লির হাইড্রলিক টেস্ট সফলভাবে শেষ হয়েছে।

রবিবার (২৮ মার্চ) বিদ্যুৎকেন্দ্রের রাশিয়ান ঠিকাদারের সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান বলছে, কেন্দ্র নির্মাণের একেবারে শেষ দিকে এসব টেস্ট করা হয়। হাইড্রলিক টেস্ট ভূ-গর্ভস্থ কেসন টেস্ট বেঞ্চে তিন ধাপে করা হয়। প্রথমে চুল্লিপাত্রকে নকশা অনুযায়ী স্থাপন করার আগে একটি সহায়ক রিং স্থাপন করতে হয়। এরপর এতে ভিভিইআর-১২০০ চুল্লিপাত্র রাখা হয়। ৬০০ টন উত্তোলন ক্ষমতার একটি ওভারহেড ক্রেনের মাধ্যমে যন্ত্রাংশটি স্থানান্তর করা হয়। এরপর ১১ মিটার দৈর্ঘের চুল্লিপাত্র কেসন বেঞ্চে সঠিকভাবে স্থাপন করে একটি প্রসেস কভারের সাহায্যে বন্ধ করা হয়।

সম্পূর্ণ সিলিং শেষ করার পর চুল্লিপাত্রে ডিস্টিল পানি ভরে একে ৬৫ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ও ২৪ দশমিক ৫ এমপিএ চাপে ১০ মিনিট ধরে রাখা হয়, এটি কাজের চাপের তুলনায় ১ দশমিক ৪ গুণ বেশি।

ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সূত্র আরও জানায়, এটি একটি লম্বা সিলিন্ডার আকৃতির উপবৃত্তাকার তল বিশিষ্ট পাত্র। এর ওপরের অংশটি একটি ঢাকনা দিয়ে শক্ত করে আটকানো থাকে এবং এর সঙ্গে ড্রাইভ মেকানিজম, রিয়াক্টরের নিয়ন্ত্রণ ও সুরক্ষা এবং নজেলের মাধ্যমে রিয়াক্টরের নিয়ন্ত্রণ সেন্সরের তারগুলোকে বাইরে নেওয়ার ব্যাবস্থা থাকে।

আশা করা হচ্ছে, কেন্দ্রটি ২০২৪ সাল নাগাদ উৎপাদনে আসবে। কেন্দ্রটিতে দুটি ইউনিটে ভিভিইআর ১২০০ রিয়াক্টর ব্যবহার করা হবে, যা একটানা ৬০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারবে। পরবর্তীতে সংস্কার করে আরও ২০ বছর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব।

রাশিয়ার অর্থ ঋণে রূপপুরে দেশের প্রথম পারমাণবিক জ্বালানি বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কেন্দ্রে উৎপাদিত বিদ্যুৎ সঞ্চালনের জন্য এখন লাইন নির্মাণের কাজ চলছে। এই কেন্দ্রটি উৎপাদনে আসলে উত্তরবঙ্গের বিদ্যুৎ সমস্যার আমূল পরিবর্তন হবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.