বেলুনে গ্যাস : চলছে রান্না!

বিশেষ প্রতিবেদন:
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গ্রামে গ্রামে অবৈধ গ্যাস সংযোগ রয়েছে। এসব সংযোগ থেকে বিশাল আকৃতির বেলুনে গ্যাস মজুত করে বিপজ্জনকভাবে চলছে রান্নার কাজ।) অর্থের বিনিময়ে এসব অবৈধ সংযোগ দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

বাড়ির ছাদে, বারান্দায়, রান্নাঘরে ও চিলকোঠায় বিশেষভাবে বেঁধে রাখা রঙ-বেরঙের প্লাস্টিকের তৈরি বিশাল আকৃতির গ্যাস বেলুনের দেখা মিলছে রূপগঞ্জ উপজেলার কায়েতপাড়া ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। কেউ প্রকাশ্যে, আবার কেউ লুকিয়ে ব্যবহার করছে এসব বেলুন। প্লাস্টিকের ত্রিপল দিয়ে বিশেষ কায়দায় তৈরি এসব বেলুনে গ্যাস মজুত করে বৈদ্যুতিক তার ও সুইচের মাধ্যমে চুলায় সংযোগ দিয়ে চলছে রান্নার কাজ। একেকটি বেলুন যেন শক্তিশালী গ্যাস বোমা। যে কোনো সময় এই গ্যাসের বেলুন বিস্ফোরণে কিংবা অগ্নিকাণ্ড হয়ে প্রাণহানির আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

কায়েতপাড়া ইউনিয়নের অন্তত পনেরোটি গ্রামে প্রকাশ্যে ও গোপনে ব্যবহার হচ্ছে এই ঝুঁকিপূর্ণ গ্যাস সংরক্ষণের বেলুন। তিতাসের মূল পাইপ থেকে হলুদ রঙের হাফ ইঞ্চি চিকন পাইপের মাধ্যমে গ্যাস ভর্তি করা হয় বেলুনগুলোতে। পৃথক আরেকটি হলুদ পাইপ দিয়ে চুলার সঙ্গে সংযোগ দেয়া হয়। আর গভীর রাতে চলে বৈদ্যুতিক মোটরের সাহায্যে বেলুনে গ্যাস ভর্তির কাজ। এই অবৈধ প্রযুক্তি ব্যবহারে এককালীন খরচ হয় মাত্র দেড় থেকে তিন হাজার টাকা।

অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারি স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এক লোক এসে সংযোগ দিয়ে দিছিল। তিন হাজার টাকার মতো নিয়েছিল।

স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেয়া তো আর আমাদের মতো সাধারণ মানুষের পক্ষে সম্ভব না।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী ইকবার মো. নূরুল্লাহ বলেন, ‘আমরা এই অবৈধ গ্যাস সংযোগ বন্ধে কাজ করছি। আমার বিশ্বাস আমরা যে ব্যবস্থা করছি তারা পরবর্তীতে বেলুন ব্যবহার করতে পারবে না।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.