নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বিদ্যুৎ সংরক্ষণে ব্যবস্থাপনা টেকসই করা সময়ের দাবি। নবায়ণযোগ্য জ্বালানি ও ইলেকট্রিক ভিহাইকেলের ব্যবহার যত বাড়বে, এনার্জি স্টোরেজের প্রয়োগও তত বাড়বে। এনার্জি স্টোরেজের ব্যবহার মূল্য সাশ্রয়ী হতে হবে।
আজ শনিবার (২৪ এপ্রিল) এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘স্টোরেজ অ্যাপ্লিকেশন ইন বাংলাদেশ পাওয়ার সিস্টেম’[ শীর্ষক ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার ম্যাগাজিনের সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেনের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, স্রেডার চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, বুয়েটের নিউক্লিয়ার পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের পরিচালক ড. আব্দুল হাসিব চৌধুরী, জি আই জেড-এর অনুষ্ঠান সমন্বয়ক আল মোতাব্বির বিন আনাম সংযুক্ত থেকে বক্তব্য দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে পিক-অফপিক আওয়ার, সাশ্রয়ী জ্বালানি, স্টোরেজ ব্যবস্থাপনা নির্ধারণ করা প্রয়োজন। নবায়নযোগ্য জ্বালানির পুরো সুবিধা নিতে হলে, সৌর বিদ্যুৎ সংরক্ষণ নিয়ে ভাবার বিকল্প নেই। তাছাড়া, অফ পিকে বিদ্যুতের চাহিদা কম থাকে। এই সময়ের বিদ্যুৎ সংরক্ষণের মাধ্যমে বিদ্যুতের পিক চাহিদাও মেটানো সম্ভব হবে।’
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘অর্থনীতি এবং অন্যান্য কারিগরি দিক বিবেচনা করে আমাদের দেশের জন্য বিদ্যুৎ সংরক্ষণের কোন কোন উপায় বেশি কার্যকরী হবে ও পরিবেশগত এবং কারিগরি চ্যালেঞ্জ কী হতে পারে, তা খুঁজে বের করতে হবে। গবেষণার জন্য অর্থায়ন বাংলাদেশ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ গবেষণা কাউন্সিল থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে এবং স্রেডা থেকে প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট পাওয়া যেতে পারে।’
ওয়েবিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন যুক্তরাষ্ট্রের অটোমেশন ও পাওয়ার সলিশন বিষয়ক সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ইট্যাব-এর ভিপি অপটিমাইজেশন ড. আহমেদ সাবের। বিভিন্ন ধরনের ব্যাটারি ও তার ধারণ ক্ষমতা, নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও এর চ্যালেঞ্জ, এনার্জি স্টোরেজ পোডাক্টস, সোপ-ক্যাপ, ফোয়েল সেল, পাম্প স্টোরেজ, টেকসই জ্বালানি ইত্যাদি বিষয় তার উপস্থাপনায় আলোকপাত করেন।
Be the first to comment