নিজস্ব প্রতিবেদক :
বৈরী আবহাওয়ার কারণে কক্সবাজারের ভাসমান টার্মিনালে এলএনজি খালাস বাধাগ্রস্ত হওয়ায় রোববার থেকে সারাদেশে গ্যাস সরবরাহে যে বিঘ্ন সৃষ্টি হয়েছিল, তা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পেট্রোবাংলার ঊধর্বতন একজন কর্মকর্তা।
পেট্রোবাংলার পরিচালক (অপারেশন অ্যান্ড মাইনস) আলী মোঃ আল-মামুন সোমবার দুপুরে এলএনজিভরতি জাহাজ টার্মিনালে ভেড়ার পর থেকে অবস্থা ‘ভালোর দিকে’ যাচ্ছে।
তিনি বলেন, “বৈরী আবহাওয়ার কারণে এলএনজিভরতি জাহাজ টার্মিনালে ভিড়তে পারছিল না। সে কারণে এলএনজি খালাসও বন্ধ ছিল। তাই আমাদের গ্যাস সরবরাহ কমিয়ে দিতে হয়েছিল।”
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানির পরিচালক (অপারেশন্স) তাজুল ইসলাম মজুমদার বলেন, “যেখানে আমরা প্রতিদিন ৮০০ থেকে ৮৫০ মিলিয়ন ঘনফুট এলএনজি পেতাম। সেখানে আমরা রোববার থেকে ৪০০ মিলিয়ন ঘনফুটের মতো পাচ্ছি।
“তাদের স্টক থেকে ৪০০ করে দিচ্ছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত এরকম থাকতে পারে বলে তারা আমাদের জানিয়েছে।”
রোববার বিকাল থেকে সোমবার সকাল পযন্ত বিভিন্ন জায়গায় গ্যাসের চাপ কম থাকার খবর পাওয়া যায়। রোববার থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত গ্যাসের চাপ কম থাকতে পারে বলে তিতাস থেকে জানানো হয়।
পেট্রোবাংলার পরিচালক আল-মামুন বলেন, “রোববার থেকে এলএনজি সরবরাহ ৪০০ ঘনফুটে নামিয়ে আনা হয়েছিল। তবে আজ দুপুরে টার্মিনালে জাহাজ ভিড়েছে। এলএনজি খালাসও শুরু হয়েছে।
“আমরা ইতোমধ্যেই আরও ২০০ ঘনফুট সরবরাহ বাড়িয়ে ৬০০ মিলিয়ন ঘনফুট করেছি। আজকের মধ্যেই সরবরাহ স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে আমরা আশা করছি।
Be the first to comment