১১ বছরে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে ১১৮ শতাংশ: ক্যাব

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)

নিজস্ব প্রতিবেদক:

১১ বছরে ১০ দফায় বিদ্যুতের দাম বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে বলে তথ্য দিয়েছে ভোক্তা অধিকার রক্ষায় নাগরিক সংগঠন কনজ্যুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।

সোমবার ক্যাব ও ভোক্তাকণ্ঠ পত্রিকা আয়োজিত ভার্চুয়াল আলোচনায় বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি সংক্রান্ত এসব তথ্য তুলে ধরা হয়।

ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান বলেন, বিদ্যুৎ বিভাগে সুশাসনের ঘাটতি, জবাবদিহিতার অভাব ও ভর্তুকি পদ্ধতির কারণে বিদ্যুতের প্রকৃত দাম আর বেশি বেড়েছে।

“প্রতি বছর বিদ্যুৎ খাতে ৭ থেকে ৮ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দেওয়া হয়-যা দামের সঙ্গে যুক্ত হলে বিদ্যুতের প্রকৃত মূল্য আরও বেশি হয়।”

গত ১১ বছরে পাইকারি বিদ্যুতের দাম ১১৮ শতাংশ এবং খুচরা বিদ্যুতের দাম ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ বেড়েছে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।

লিখিত প্রবন্ধে সাংবাদিক মনজুরুল আহসান বলেন, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর শেয়ার বিক্রি করে বেসরকারি মালিকানায় দেওয়া হচ্ছে। এই কোম্পানীগুলোর অর্থ বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ এফডিআর করে রাখা হচ্ছে। পরবর্তীতে এই শেয়ারের অর্থ কোথায় যাচ্ছে তা কেউ জানে না।

বিগত বছরগুলোতে ক্যাব হিসাব করে দেখিয়েছে যে, বিদ্যুতের মূল্য বাড়ানোর প্রয়োজন নেই, বরং তা কমানো যেতে পারে। অথচ বিদ্যুতের দাম গত ১১ বছরে ১০ দফায় বৃদ্ধি করা হয়েছে।

ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা ও ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল অনুষদের ডিন অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, “আমাদের দেশের তুলনায় জার্মানসহ ইউরোপের উন্নত দেশগুলোতে বিদ্যুতের মূল্য কম। তারা রূপান্তরের মাধ্যমে ধীরে ধীরে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে যাচ্ছে।

“আমাদের দেশে জ্বালানি খাতে রূপান্তরের কাজ শুরু হয়েছিল ১৭ বছর আগে। কিন্তু অগ্রগতি খুবই সামান্য।”

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক এমএম আকাশসহ ক্যাবের বেশ কয়েকজন নেতা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.