নিউজ ডেস্ক:
রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিল করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের খুলনা বিভাগের ১০ জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সমন্বয়করা।
শনিবার এক যুক্ত বিবৃতিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে তারা বলেছেন, ভৈরব নদের প্রবাহ বন্ধ থাকায় উজানের মিঠাপানির অভাবে সুন্দরবনের পরিস্থিতি খুবই নাজুক। এমন সময় রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প হবে ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’।
বিবৃতিতে বলা হয়, জানা যাচ্ছে, ভারতের নিম্নমানের কয়লা ব্যবহার করে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র চালানো হবে। আর এই কয়লা আসবে রামপাল-চালনা-মোংলা নৌরুটে। এই রুটে রয়েছে সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ভৈরব-বলেশ্বর-শিবসা-শাকবাড়িয়া-কালিন্দী-পানগুছি-রায়মঙ্গল নদী। প্রতি মাসে ভারত থেকে আসবে ৩০টি ও আকরাম পয়েন্ট থেকে ৮০টি কয়লাবাহী জাহাজ।
এরই মধ্যে গত ১০ বছরে সুন্দরবনের বাংলাদেশ অংশে শ্যালো-পশুর-কুঙ্গা ও ভৈরব নদে ১১টি ও ভারতের অংশে ফ্লাইঅ্যাশের কার্গো ডুবেছে। ফলে ছয় হাজার টন ফ্লাইএ্যাশ, পাঁচ হাজার টন কয়লা, ৩৭০ টন জ্বালানি তেল, ৫০০ টন পটাশিয়াম, এক হাজার ৩৬ টন জিপসাম ও ৭০০ টন গম সুন্দরবনের নদী ও বনাঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ে। রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হলে এর দূষণের সঙ্গে কয়লা পরিবহনের দূষণ যুক্ত হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হবে সুন্দরবনের মাটি ও পানি। বিশ্বঐতিহ্য ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রাকৃতিক ঢাল সুন্দরবন সংকটের মুখে পড়বে।
সমন্বয়করা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশি-বিদেশি পরিবেশবিদ ও বিশ্বনেতাদের আপত্তি উপেক্ষা করে সরকার রামপাল তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করতে অনড়। আমাদের দৃঢ় ধারণা, শুধু ভারতের করপোরেট পুঁজির স্বার্থরক্ষার তাগিদে এটা করা হচ্ছে।
বিবৃতিদাতারা হলেন- বাম গণতান্ত্রিক জোট খুলনা জেলা সমন্বয়ক মুনীর চৌধুরী সোহেল, বাগেরহাট জেলা সমন্বয়ক ফররুখ হাসান জুয়েল, সাতক্ষীরা জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আজাদ হোসেন বেলাল, যশোর জেলা সমন্বয়ক জিল্লুর রহমান ভিটু, নড়াইল জেলা সমন্বয়ক মনিউর রহমান জিকু, কুষ্টিয়া জেলা সমন্বয়ক সফিউর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা সমন্বয়ক লুৎফর রহমান, ঝিনাইদহ জেলা সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান, মাগুরা জেলা সমন্বয়ক কাজী নজরুল ইসলাম ফিরোজ ও মেহেরপুর জেলা সমন্বয়ক জালাল উদ্দীন।
Be the first to comment