নিজস্ব প্রতিবেদক :
সিলেটে ডিজিটাল পদ্ধতিতে খুঁজে বের করা হচ্ছে গ্যাস লাইনের লিকেজ। অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত একটি মোবাইল কার দিয়ে এই কাজটি করছে সিঙ্গাপুরের জিকম ইকুইপমেন্ট পিটিই লিমিটেড নামের একটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান।
জালালাবাদ গ্যাসের অন্তর্ভুক্ত এলাকায় সঞ্চালন ও বিতরণ লাইনে ডানে-বাঁয়ে একশ মিটার দূরত্বের মধ্যে কোনো ধরনের লিকেজ থাকলে তা খুঁজে বের করবে কারটি। পরে ওই লিকেজ দিয়ে কী পরিমাণ গ্যাস বের হচ্ছে তা নির্ণয় করে এটি বন্ধ করবেন প্রকৌশলীরা।
আজ সোমবার (৩০ আগস্ট) জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন লিমিটেডের (জেজিটিডিএসএল) মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী এবিএম শরিফ এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ওই প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জালালাবাদ গ্যাস কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি সই হয়েছে। ছয় মাসের মধ্যে মোট ৮৪ দিন তাদের প্রকৌশলীরা এই কার্যক্রম চালাবেন।
শরিফ আরও বলেন, প্রতিদিন ১০ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে গ্যাস লাইনের লিকেজ অনুসন্ধান করবেন প্রতিষ্ঠানটির প্রকৌশলীরা। ৮৪ দিনে মোট ৮৪০ কিলোমিটার গ্যাস লাইনে অনুসন্ধান পরিচালনা ও ছিদ্র বন্ধসহ সার্বিক কাজ শেষ করতে বৈশ্বিক ওই প্রতিষ্ঠানটিকে ২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা দেবে জেজিটিডিএসএল।
অত্যাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত এই মোবাইল কার রোববার (২৯ আগস্ট) থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। ভ্রাম্যমাণ লিকেজ শনাক্তকরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে দেশের মূল্যবান প্রাকৃতিক সম্পদ গ্যাসের অপচয় রোধ, গ্যাস ছিদ্রজনিত দুর্ঘটনা হ্রাস এবং জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে এই ডিজিটাল মোবাইল কারটি।
এর আগে চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এ ধরনের বিশেষ কার ব্যবহার করছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (টিজিটিডিসিএল)।
সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, কার ব্যবহারের এই পদ্ধতি চালুর ফলে অনুমাননির্ভর ও বিক্ষিপ্তভাবে মাটি খুঁড়ে ছিদ্র শনাক্ত করতে হবে না। কাজটি অনেক সহজ ও নির্ভরযোগ্য হবে। এরফলে সময়, জনবল ও খরচ কমবে।
Be the first to comment