নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি আইনের মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ছে। ক্রয়বিধি মেনে আরও পাঁচ বছর বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের কেনাকাটার জন্য দরপত্র আহ্বান করতে হবে না। এজন্য ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান)(সংশোধন) আইন, ২০২১’ এর খসড়া নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আজ সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই অনুমোদন দেয়া হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে এই অনুমোদনের কথা জানান।
তিনি বলেন, ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধির জন্য ২০১০ সালে একটা আইন করা হয়েছিল। সেটা দুই বছরের জন্য বৃদ্ধি করা হয়, দুই বছর অন্তর অন্তর। জরুরি পরিস্থিতিতে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি ঘাটতি মোকাবিলায় আইনটি কার্যকর, আইনের মেয়াদ এরই মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। সেজন্য আইনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ প্রস্তাব নিয়ে এসেছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের এবং ২০৪০ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়ার ক্ষেত্রে আমাদের যে পরিকল্পনা আছে, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহে সেটা যাতে আমরা নির্বিঘ্নে সরবরাহ করতে পারি। এজন্য ২০২৬ সাল পর্যন্ত এটার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। আইনের মেয়াদ ২০২১ সালে শেষ হয়ে যাওযার কথা।’
তিনি জানান, ‘এখন আগের আইনটারই কেবল সময় বাড়িয়ে নেয়া হয়েছে। তারা (বিদ্যুৎ বিভাগ) বলেছে আইনটি খুবই কার্যকর তাই আমাদের আরও পাঁচ বছর দরকার।
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘এটা ছিল স্পেশাল প্রভিশন আইন। ২০১০ সালে বিভিন্ন স্পেশাল প্রভিশন প্রয়োজন হলো। জেনারেল যে ক্রয় প্রক্রিয়া ও ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি এটার বাইরে কিছু এক্সট্রা লাগবে। সেটার জন্য এই আইন করা হয়। এখন দেখা যায় এটা কার্যকর, ভালই চলছে। এজন্য মন্ত্রণালয় আরও পাঁচ বছর সময় বাড়িয়ে নিয়েছে।’
Be the first to comment