নিউজ ডেস্ক :
দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ পেয়েছে উপজেলাবাসী।
আজ ১২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলা পরিষদ চত্বরে ঝাড়বাতি দিয়ে আলোকসজ্জা করা হয়। ফোটানো হয় আতশবাজি। এতে উচ্ছ্বসিত উপজেলার মানুষ।
পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ উপলক্ষে উপজেলা প্রশাসনের করা এ আয়োজনের উদ্বোধন করেন পটুয়াখালী-৪ (কলাপাড়া-রাঙ্গাবালী) আসনের সংসদ সদস্য মো. মহিববুর রহমান মহিব। এ সময় তিনি বলেন, শতভাগ বিদ্যুতায়ন হলে প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিকভাবে এই বিদ্যুৎ সরবরাহের উদ্বোধন করবেন। আজ পরীক্ষামূলক চালু হলো।’
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তথ্যানুযায়ী, প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন একটি উপকেন্দ্র নির্মাণ করে এ উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বাবুুরহাট থেকে তেঁতুলিয়া নদী হয়ে মুজিবনগর দিয়ে চরকাগজল-চরবিশ্বাস অতিক্রম করে সাবমেরিন কেবলের মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ পৌঁছায় এই দ্বীপ উপজেলায়।
এ বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে তেঁতুলিয়া, বুড়াগৌরাঙ্গ ও আগুনমুখা নদীর তলদেশ দিয়ে প্রায় ৯ কিলোমিটার সাবমেরিন কেবল স্থাপন করা হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, এ উপকেন্দ্রের মাধ্যমে সাড়ে ২৯ হাজার গ্রাহককে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনা যাবে। এরই মধ্যে দুই হাজার ৯৫০ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ ও সুবিধা দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্যরাও বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আসবে।
পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (গলাচিপা-রাঙ্গাবালী) প্রকৌশলী মাইনউদ্দীন আহম্মেদ বলেন, আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে বিদ্যুতায়নের কাজ শেষ করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। যদি কাজ শেষ হয়, তাহলে এর মধ্যে অথবা পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করতে পারেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ডা. জহির উদ্দিন আহম্মেদ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাশফাকুর রহমান বলেন, উপজেলাবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন ছিল, আজ তা সত্যি হলো। বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত হলো রাঙ্গাবালী। এই বিদ্যুতের কারণে এখানকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে।
Be the first to comment