নিজস্ব প্রতিবেদক:
সারা বছর একই দামে অটোগ্যাস বিক্রি করতে চায় অপারেটররা। ব্যবসায়ীদের এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে ভোক্তা প্রতিনিধিরা। এলপিজি বা অটোগ্যাস ব্যবহার করে দেশে ২০০৩ সাল থেকে যান চলছে। এখন ক্ষুদ্র এবং মাঝারি যানের ক্ষেত্রে এলপিজি জনপ্রিয় হচ্ছে। সারাদেশে ৪০০ অটোগ্যাস স্টেশন গড়ে উঠেছে। পেট্রোল থেকে সাশ্রয়ী হওয়াতে অটোগ্যাসের চাহিদা দিনে দিনে বেড়েছে।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) আয়োজিত এলপিজির দর নির্ধারনে আয়োজিত গণশুনানিতে এলপিজি ব্যবসায়ী ও ভোক্তারা এসব কথা বলেন।
শুনানিতে বলা হয়, প্রতিমাসে অটোগ্যাসের দাম নির্ধারনের ফলে ভোক্তাদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিচ্ছে। তারা বিষয়টিকে ভালভাবে গ্রহণ করছেন না। ফলে সারা বছরের জন্য ভোক্তাদের একটি দামে অটোগ্যাস দেয়ার সুপারিশ করা হয়। তবে সৌদি সিপি অনুযায়ি এলপিজির দর ওঠা নামা করার ভিত্তিতে একটি দাম প্রস্তাব করা হয়।
ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দেয়া প্রস্তাবে বলা হয়, সৌদি সিপিতে এলপিজির দাম টন প্রতি ৫০০ ডলার হলে বাংলাদেশে প্রতি লিটার এলপিজির দাম হতে পারে ৪৫ টাকা। সৌদি সিপিতে ৫০১ থেকে ৬০০ হলে লিটার প্রতি দাম হতে পারে ৫০ টাকা, ৬০১ থেকে ৭০০ ডলার দাম হলে ৫৫ টাকা লিটার প্রতি এলপিজি বিক্রি করা গেলে সবার জন্যই উপকার হবে। তারা বলছেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য অন্তত দুই বছর পর পর এই দাম পরিবর্তন করা যেতে পারে।
শুনানিতে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, আমরাও মনে করি প্রতিমাসে অটোগ্যাসের দাম পরিবর্তন হওয়াতে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া হচ্ছে। এর সঙ্গে পরিবহণের ভাড়া বৃদ্ধির বিষয়টি সম্পৃক্ত। ফলে এটি প্রতি মাসে পরিবর্তন করা যৌক্তিক নয়।
শুনানিতে কমিশনের চেয়ারম্যান আব্দুল জলিল এর সভাপতিত্বে কমিশন সদস্যরা ছাড়াও এলপিজি অপারেটর, ভোক্তা প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
Be the first to comment