
নিজস্ব প্রতিবেদক:
এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (ইআরসি) কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি ১২ কেজি বোতলে ৬৪ দশমিক ৭৬ টাকা বৃদ্ধির সুপারিশ করেছে।
আজ সোমবার ১৩ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটনে বিয়াম ফাউন্ডেশনের সম্মেলন কক্ষে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (ইআরসি) আয়োজিত এলপিজির দর নির্ধারণে আয়োজিত গণশুনানিতে এই সুপারিশ করা হয়।
এখন বাজারে ১২ কেজি এলপিজি বোতলের বিইআরসি নির্ধারিত দাম ১ হাজার ৩৩ টাকা। সেখানে কারিগরি কমিটি তা বাড়িয়ে এক হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করার সুপারিশ করেছে। তবে এলপিজি অপারেটরদের প্রস্তাব আমলে নেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভোক্তাদের পক্ষ নিয়ে কাজ করা ক্যাব।
শুনানির শুরুতে ১২ কেজি এলপিজির দাম এক হাজার ৩৮০ টাকা নির্ধারণ করার প্রস্তাব করে অপারেটরা। অপারেটরদের পক্ষে মূল প্রস্তাব উত্থাপন করে ওমেরা এলপিজির চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার শামসুল হক আহমেদ। তিনি মূল প্রস্তাবে বলেন, এলপিজির দাম সঠিকভাবে নির্ধারন না করাতে তারা লোকসানে পড়েছে। এতে করে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ নিরুৎসাহিত হবে।
ইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব কামরুজ্জামান শুনানিতে বলেন, সৌদি সিপি অনুযায়ি সেপ্টেম্বর মাসের এলপিজির সরবরাহ ব্যয় ৯১.৪৮ টাকা প্রতি কেজি হিসেবে ১২ কেজির বোতলের দাম এক হাজার ৯৭ টাকা ৭৬ পয়সা করার সুপারিশ করা হয়েছে।
তবে কারিগরি মূল্যায়ন কমিটি এলপিজি বোতলজাত করণ এবং মজুতকরণে চার্জ অপরিবর্তিত রাখতে চায়। তবে পরিবেশক এবং খুচরা বিক্রেতার কমিশন বৃদ্ধির পক্ষে মত দিয়েছে কারিগরি কমিটি।
ভোক্তাদের পক্ষে ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা শামসুল আলম বলেন, আদালতে এ বিষয়ে একটি মামলা চলছে এখন এলপিজির দামের বিষয়টি আদালতে নিস্পত্তি হবে। ফলে এই শুনানিতে ভোক্তারা কিছুই পাবে না। তিনি বলেন, কমিশনে ২৯ মে থেকে ৩ জুনের মধ্যে আবেদন করেছে অপারেটররা। কিন্তু কমিশনের আদেশের ৩০ দিনের মধ্যে আবেদন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সঙ্গত কারণে এই আবেদন গ্রহণের কোন যৌক্তিকতা নেই বলে শুনানিতে তিনি জানান।
Be the first to comment