মেয়াদ বাড়লো বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ আইনের

জাতীয় সংসদ অধিবেশনে নসরুল হামিদ

নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ পাস হয়েছে জাতীয় সংসদে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) (সংশোধন) বিল-২০২১’ সংসদে পাসের প্রস্তাব করেন। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।

এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই, বাছাই কমিটিতে পাঠানো এবং সংশোধনীর প্রস্তাবগুলোর ওপর আলোচনা শেষে স্পিকার তা নিষ্পত্তি করেন।

বিলটি পাসের প্রক্রিয়ার সময় বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও বিএনপির সংসদ সদস্যরা এর বিরোধিতা করেন। তাদের অভিযোগ, জনগণের করের টাকা ‘অন্যের হাতে তুলে দেওয়ার জন্য’ এই আইন করা হচ্ছে।

এর জবাব দিতে গিয়ে প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, নিরবচ্ছন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্যই এ বিলটি আনা হয়েছে।

২০০৯ সালের আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিদ্যুৎ সঙ্কট দ্রুত সমাধানের লক্ষ্যে এই আইনের আওতায় প্রথম বেশ কয়েকটি ভাড়া ও দ্রুত ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের অনুমোদন দেওয়া হয়।

প্রাথমিকভাবে এসব ভাড়াভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রকে বৈধতা দিতে ২০১০ সালে প্রণয়ন করা হয় ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন’। শুরুতে দুই বছরের জন্য এ আইন করা হলেও পরে কয়েক দফায় সময় বাড়ানো হয়। তবে পরে এই আইনের আওতায় শুধু কুইক রেন্টাল নয়, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি বিভাগের আরো অনেক প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

২০১০ সালে প্রণীত আইনটির মেয়াদ সর্বশেষ তিন বছর বাড়িয়ে ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়েছিল। সেই মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানোর প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর সংসদের সম্মতি নেওয়ার জন্য বুধবার এ বিলটি সংসদে উত্থাপন করেন প্রতিমন্ত্রী।

সংসদে বিরোধীদলের এক প্রশ্নের উত্তরে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, “বিলটি নতুন করে আনা হয়নি। সময় বাড়ানো হয়েছে। নিরবচ্ছন্ন বিদ্যুৎ যাতে দিতে পারি সেজন্য এই আইন। ছয় মাসের মধ্যে যাতে কাজ করতে করতে পারি সেজন্য এই আইন।

“শতভাগ বিদ্যুতায়ন করেছি। এখন নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চাই। সঞ্চালন লাইন করতে গেলে সময় লাগবে। এটা কুইক রেন্টালের জন্য না। দ্রুত সরবরাহের জন্য এই আইন। আমাদের দ্রুত সঞ্চালন করতে হবে। মাটির নিচে যেতে হবে। আগামী তিন বছরের মধ্যে ঢাকা আন্ডারগ্রাউন্ডে যাবে, সিলেট যাবে, খুলনা যাবে।

এর আগে গত ৬ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই আইনের খসড়ার নীতিগত ও চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.