পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশের পদক্ষেপ বিশ্বে উদাহরণ: ইয়াফেস ওসমান

নিউজ ডেস্ক :
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান বলেছেন,
বাংলাদেশে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের পদক্ষেপ ও গৃহীত নীতি পৃথিবীর নবাগত রাষ্ট্রের জন্য উদাহরণ হতে পারে। সরকারের পরমাণু নীতি, জাতীয় অংশীদারদের অক্লান্ত শ্রম, দ্বিপাক্ষিক অংশীজনের সহযোগিতা এবং আইএইএ-এর অকুণ্ঠ সমর্থনে বাংলাদেশ আজ সফলভাবে পরমাণু কর্মসূচি বাস্তবায়নের দিকে এগিয়ে চলেছে।

সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬৫তম সম্মেলনে বক্তব্য দানকালে বাংলাদেশে সরকারের প্রতিনিধি দলের নেতা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী একথা বলেছেন। অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিনিও গ্রসি।

অষ্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত পাঁচ দিনব্যাপী আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬৫তম সম্মেলন শুরু হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করার সাহসী চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করেছেন। যে কারণে বাংলাদেশ পরমাণু শক্তিকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের নিরাপদ, পরিবেশবান্ধব এবং অর্থনৈতিকভাবে টেকসই উৎস হিসেবে বিবেচনা করে। প্রাসঙ্গিকভাবে নিরাপত্তা, সুরা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা মেনে বাংলাদেশ পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির উন্নয়নে রূপপুর এনপিপি’র ইউনিট -১ এবং ইউনিট-২ নির্মাণ কাজ করোনা মহামারী স্বত্বেও কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে এগিয়ে চলেছে। গত ১৪ সেপ্টেম্বর হতে ইউনিট-১ এ রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন শুরু করেছে। যা বাংলাদেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কর্মসূচির উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত। সরকারের স্বচ্ছ ও সংক্ষিপ্ত পারমাণবিক নীতির মাধ্যমে, জাতীয় স্টেকহোল্ডার, দ্বিপক্ষীয় অংশীদার এবং আইএইএ-এর দৃঢ় সমর্থনে বাংলাদেশ সফলভাবে পারমাণবিক শক্তি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এনপিপিতে নতুন দেশগুলির জন্য বাংলাদেশ একটি দুর্দান্ত উদাহরণ হতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সম্মেলনে পৃথিবীর ২০০টি দেশের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন। পরিবেশ বান্ধব ও পারমাণবিক শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারে বাংলাদেশ সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের প্রতিনিধিরা তাঁদের বক্তব্যে বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স পরমাণু শক্তি কমিশনের চেয়ারম্যান ড. সানোয়ার হোসেন, প্রকল্প পরিচালক ড. শৌকত আকবর, অষ্ট্রিয়ায় বাংলাদেশ মিশনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স রাহাত বিন জামান, ফাস্ট সেক্রেটারি তারাজুল ইসলাম, দূতাবাসের নিউক্লিয়ার বিষয়ক কাউন্সিলর ড. শামসুজ্জামান, প্রকল্পের অর্থ ও হিসাব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অলক চক্রবর্তী ও আইএইএ-এর সাবেক কর্মকর্তা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহিম পাকন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.