নবায়নযোগ্য জ্বালানির লক্ষ্য অর্জনে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা

নসরুল হামিদ

নিউজ ডেস্ক :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালার লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে গৃহীত হয়েছে বছরভিত্তিক পরিকল্পনা । নবায়নযোগ্য জ্বালানির সম্পদ মূল্যায়ন ও নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য রোডম্যাপ- ২০৩০ অনুসারে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। সৌরবিদ্যুতের জন্য খসড়া রোডম্যাপ-২০৪১ নিয়ে পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘের উচ্চস্তরের সংলাপে ভিডিও বার্তায় নসরুল হামিদ এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটির বেশি গ্রামীণ অফগ্রিডের জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে অন্যান্য নবায়নযোগ্য জ্বালানির মধ্যে সৌরবিদ্যুতের সম্ভাবনাই বেশি। কিন্তু জমি বেশি লাগে বিধায় সৌরবিদ্যুতের জন্য উদ্ভাবনী সমাধান প্রয়োজন। যদিও আমরা ছাদে সৌর এবং ভাসমান সৌর প্রযুক্তির দিকে এগুচ্ছি। ছাদ সৌরবিদ্যুতকে জনপ্রিয় করার জন্য নেট মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তন করা হয়েছে। বায়ু বিদ্যুৎ নিয়ে আরও কাজ করার সুযোগ রয়েছে। বায়ুর ম্যাপিং নয়টি সাইটে করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই অফশোর বায়ুর সম্ভাবনা নিয়ে গবেষণা করা হবে। নবায়নযোগ্য উৎস হতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ভাগ ২০৫০ সালের মধ্যে আমাদের উৎপাদনের মিশ্রণের ৪০ শতাংশ করতে চাই। এজন্য বিদ্যুতের মহাপরিকল্পনা হালনাগাদ করা হচ্ছে।

প্রতিমন্ত্রী এসময় বলেন, বিদ্যুতের বেস লোড উৎপাদনের জন্য এলএনজি এবং পারমাণবিক শক্তি চালু করা হচ্ছে। বিদ্যুতের আমদানিকেও যথাযথ গুরুত্ব দিচ্ছি। বাংলাদেশ ভারত থেকে ১১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে। বাংলাদেশ পরিষ্কার শক্তির উৎস থেকে উৎপাদিত বিদ্যুৎ যেমন নেপাল এবং ভুটান থেকে হাইড্রো বিদ্যুৎ এবং ভারত থেকে সৌরবিদ্যুৎ আমদানি করতে চায়।

জাতিসংঘের উচ্চস্তরের সংলাপে সরকারি ও বেসরকারি খাত ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি নতুন অর্থায়ন ও বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেছে। নতুন প্রতিশ্রুতিগুলির ফলে নবায়নযোগ্য জ্বালানির ইনস্টল ক্ষমতা এবং জ্বালানি দক্ষতার উল্লেখযোগ্য হারে উন্নতি হবে— যার ফলে লাখ লাখ নতুন সবুজ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.