এলএনজি আমাদনিতে সামিট ও ইনকের সঙ্গে চুক্তি ডিসেম্বরে

স্থলভাগে এলএনজি টার্মিনাল
বিদেশি এলএনজি টার্মনাল

রশিদ মামুন:

এলএনজি আমদানিতে আরো দুটি কোম্পানির সঙ্গে দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করতে যাচ্ছে সরকার। দেশীয় প্রতিষ্ঠান সামিট গ্রুপ এবং দুবাই ভিত্তিক এ্যামিরাটস ন্যাশনাল ওয়েল কোম্পানি গ্রুপ (ইনক) এর সঙ্গে চুক্তি দুটি সই করা হবে। এই চুক্তির আওতায় দীর্ঘ মেয়াদে পেট্রোবাংলার কাছে এলএনজি সরবরাহ করবে প্রতিষ্ঠান দুটি। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে চুক্তি হওয়ার কথা বলছে জ্বালানি বিভাগ। আশা করা হচ্ছে এই দুটি চুক্তির আওতায় বছরে তিন মিলিয়ন টন এলএনজি আসবে।

জ্বালানি সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দুটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এলএনজি আমদানির জন্য দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি করতে যাচ্ছি। আশা করা হচ্ছে ডিসেম্বরে চুক্তি হয়ে যাবে। চুক্তির পর তাদের তিন মাস সময় দিতে হয়। আমরা আশা করছি এপ্রিলে না হলেও আগামীবছরের মে মাসে এই এলএনজি বাংলাদেশে আসবে।

দেশে এখন দুটি ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল রয়েছে। এই দুটি টার্মিনালের বার্ষিক সরবরাহ ক্ষমতা ৭ মিলিয়ন টন। কিন্তু সরকার এলএনজি আমদানির জন্য কাতার এবং ওমানের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে তাতে বছরে সর্বোচ্চ ৪ মিলিয়ন টনের এলএনজি সংস্থান হতে পারে। অর্থাৎ বাকি তিন মিলিয়ন টন এলএনজি স্পট মার্কেট থেকে আমদানি করতে হচ্ছে। ফলে এই পরিমান এলএনজি আমদানির জন্য নতুন টার্মিণাল প্রয়োজন হবে না।

সামিট গ্রুপ মহেশখালিতে একটি ভাসমান এলএনজি টার্মিণাল স্থাপনের মাধ্যমে দেশের এলএনজি ব্যবসায় প্রবেশ করে। নিজস্ব গ্যাস ক্ষেত্র না থাকলেও সামিট তৃতীয় কোন কোম্পানির কাছ থেকে এলএনজি কিনে তা পেট্রোবাংলার কাছে সরবরাহ করবে। অন্যদিকে ইনক সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীয় গেল গ্যাস কোম্পানি। বিশ্বের মধ্যে ইনক প্রথম সারির তেল গ্যাস কোম্পানির মধ্যে একটি। দুবাই ভিত্তিক ইনক দুনিয়া জুড়েই ব্যবসা পরিচালনা করে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.