নিজস্ব প্রতিবেদক :
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প পারমাণবিক চুল্লি বা নিউক্লিয়ার রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আজ রোববার (১০ অক্টোবর) এই কাজের উদ্বোধন করবেন। এই রিয়েক্টরকে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের হৃদপিণ্ড বলা হয়।
এটি বাংলাদেশের ইতিহাসের একটি যুগান্তকারী ঘটনা। এর মাধ্যমে বাঙালি জাতির দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্ন পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বাস্তবে রূপ নেওয়ার পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেলো।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রী ইয়াফেজ ওসমান। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পারমাণবিক শক্তি করপোরেশন রসাটমের প্রধান নির্বাহী আলেক্সি লিখাচোখ ও এটমস্ট্রয় এক্সপোর্ট গ্রুপ অব কোম্পানিজের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লকসিন।
এছাড়া আরও উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব জিয়াউল হাসান, রূপপুর প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শৌকত আকবর। ঈশ্বরদীর জনপ্রতিনিধি, পরমাণু শক্তি কমিশনের কর্মকর্তাসহ সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা, কেন্দ্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত কোম্পানি রোসাটম ও এটমস্ট্রয় এক্সপোর্টের কর্মকর্তারা।
প্রসঙ্গত, রূপপুরে এক হাজার ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্ষমতার ভিভিআর-প্রযুক্তির রিয়্যাক্টরের দুটি ইউনিট তৈরি হবে। আগামী ২০২৩ সালে কেন্দ্রটির প্রথম ইউনিট এবং ২০২৪ সালে দ্বিতীয় ইউনিট চালু হবার কথা রয়েছে।
জানা যায়, প্রকল্পের মূল কাজ এগিয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ। এই প্রকল্পে এখন প্রতিদিন প্রায় ২৫ হাজার দেশি-বিদেশি শ্রমিক-প্রকৌশলী কাজ করছেন। প্রথম ইউনিটের রিয়্যাক্টর ভবনের কাজ প্রায় শেষ। এদিকে দ্বিতীয় ইউনিটের প্রাথমিক কাজও শুরু হয়েছে।
যে যন্ত্র দিয়ে পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়াম থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা হবে তার মূল কাঠামোকে বলা হয় রিয়্যাক্টর প্রেসার ভেসেল বা পরমাণু চুল্লি।
Be the first to comment