জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পায়তারা বন্ধের দাবি

জ্বালানি তেল

নিউজ ডেস্ক :
করোনার ধাক্কা সামাল দিতে গিয়ে নিম্নবিত্ত থেকে শুরু করে মধ্যবিত্তরাও চরম সংকটে পড়েছেন। এ অবস্থায় মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দেখা দিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি। এখন জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি জনগণকে আরো চাপে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (বাংলাদেশ ন্যাপ)।

আজ শুক্রবার (২৯ অক্টোবর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে পার্টির চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানি ও মহাসচিব এম. গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া এসব কথা বলেন।

বিবৃতিতে তারা বলেন, নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম কিছুতেই টেনে ধরতে পারছে না সরকার। অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী ভাত কম খাবার উপদেশ দিয়ে জনগণের সঙ্গে তামাশা করছেন। যা অত্যন্ত হাস্যকর। নিত্যপণ্য চাল, ডাল, তেল, চিনি, আটা-ময়দা, পেঁয়াজ ও আলুর মূল্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। একইসঙ্গে শীতকালীন সবজি বাজারে উঠলেও সেখানেও স্বস্তি নেই।

বাংলাদেশ ন্যাপের এ দুই নেতা আরও বলেন, নিত্যদিনের বাজার খরচ মেটাতে দিশাহারা নিম্নমধ্যবিত্তরা। আয়-ব্যয়ের হিসাব মেলাতে পারছে না কিছুতেই। জীবন চালাতে ধার করতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এতে করে হিমশিম খেতে হচ্ছে নিম্নবিত্তদের।

এমন অবস্থায় তুলনামূলক কম দাম হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে তেল পাচারের শঙ্কার অজুহাতে জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির চিন্তা জনবিরোধী। এমনিতেই উচ্চমূল্যে নিত্যপণ্য কিনতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে, এমন অবস্থায় জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি হলে জনজীবনে মারাত্মক প্রভাব পড়বে বলে মনে করেন তারা।

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির পায়তারা বন্ধের আহ্বান জানিয়ে ন্যাপ নেতারা বলেন, মহামারি করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে টানা লকডাউনে কাজ হারিয়েছে অসংখ্য মানুষ। বেশিরভাগ কর্মজীবীর আয় কমেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির প্রায় সব মানুষেরই নাভিশ্বাস উঠেছে জীবন চালাতে। সংসার চালাতে না পেরে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। তাই নিত্যপণ্যের লাগাম টেনে না ধরতে পারলে নিম্ন ও মধ্যবিত্তদের জীবন চরম সংকটে পড়বে। এরমধ্যে জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির মতো জনবিরোধী সিদ্ধান্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তারা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.