নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যাপক প্রসার সম্ভব, গ্লাসগোতে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক:

গ্লাসগোতে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে ‘কপ২৬ এনার্জি ট্রান্সজিশন কাউন্সিল মিনিস্ট্রিয়াল ইভেন্টে’ যোগ দিয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, বাংলাদেশে নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে গৃহীত কৌশলপত্র জ্বালানির বৈচিত্রময়তা ও পরিষ্কার জ্বালানির ব্যবহার দ্রুতগতিতে বাড়াতে কার্যকরি অবদান রাখছে। উন্নত প্রযুক্তি, গবেষণা ও আর্থিক সহযোগিতার সমন্বয় করা সম্ভব হলে নবায়ণযোগ্য জ্বালানির ব্যাপক প্রসার নিশ্চিত হবে। সক্ষমতা বৃদ্ধিতেও সম্মিলিতভাবে কাজ করা আবশ্যক।

বৃহস্পতিবার (৪ নভেম্বর) ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়। ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সির (আইআরইএনএ) পরিচালক ইলিজাবেদ প্রেসের সভাপতিত্বে ইভেন্টে অন্যান্যের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কমিশনার কাদরি সিম্পসন ও ইটিসি ফোকাস দেশগুলোর মন্ত্রীরা বক্তব্য রাখেন। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বাংলাদেশ ‘পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রসারে এনার্জি ট্রান্সজিশন কাউন্সিল ও সংশ্লিষ্ঠ সকলের সাথে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে আগ্রহী’ উল্লেখ করে ইভেন্টে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে কয়লার পরিমাণ কমে আসছে। ইতোমধ্যে ৮ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াটের ১০টি কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বাতিল করা হয়েছে, যেখানে বিনিয়োগ ছিল প্রায় ১০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সৌরবিদ্যুতের জন্য কম জমি লাগে এমন প্রযুক্তি প্রয়োজন। বাংলাদেশের মতো ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বড় আকারের সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র করা দুরূহ। তাই সোলার হোম সিস্টেম ও সোলার মিনি গ্রিড এর মতো প্রকল্প নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। ৬০ লাখ সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে প্রায় ২ কোটি গ্রামীণ জনগণ বিদ্যুতায়নের আওতায় এসেছে।

প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরও বলেন, বায়োগ্যাস জ্বালানি বাংলাদেশের মোট প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহ খাতের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের সংখ্যা এক লাখের কাছাকাছি পৌঁছেছে। বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান এনার্জি হতে বিদ্যুৎ ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণায় এনাজি ট্রান্সজিশন কাউন্সিল-এর সহযোগিতাকে স্বাগত জানানো হবে। পরিষ্কার জ্বালানি আমদানিতেও সরকার কাজ করছে। সকলের জন্য সাশ্রয়ী, টেকসই জ্বালানি ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা জোরদার করা অত্যাবশ্যক।

প্রসঙ্গত, কপ২৬ -এনার্জি ট্রান্সজিশন কাউন্সিলের (ইটিসি) অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হলো বৈশ্বিক নেতৃত্বকে একত্রিত করে এনার্জি ট্রানজিশনকে ত্বরান্বিত করা, এবং পরিষ্কার জ্বালানির জন্য অর্থায়নকে সহজ করা। বাংলাদেশ ছাড়াও ইটিসি ফোকাস দেশগুলো হলো- মিশর, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, কেনিয়া, লাওস, মরোক্কো, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান,ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম ও দক্ষিণ আফ্রিকা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.