মফস্বল ডেস্ক:
কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে গেছে ইটের দাম।
ময়মনসিংহের সীমান্তবর্তী উপজেলা হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী বন্দরে এখনও কয়লা আমদানি শুরু হয়নি। এতে ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজও থেমে আছে। ইতোমধ্যে বেড়ে গেছে কয়লার দাম। তাই গতবারের পুরনো ইট বেশি দামে বিক্রি করছেন মালিকরা।
ময়মনসিংহ সদরের এক ব্রিকসের মালিক জানান, এখনও হালুয়াঘাট বন্দর দিয়ে কয়লা আমদানি শুরু হয়নি। দেশে এর দামও ব্যাপক হারে বেড়েছে। দাম বেড়ে যাওয়ায় মাত্র দুই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ট্রিপ ইট (প্রতি ট্রিপে ইট থাকে দুই হাজার) ১৬ থেকে বেড়ে হয়েছে ২০ হাজার টাকা। অনেক ইটভাটায় আগে থেকে নতুন ইট তৈরি করলেও কয়লার অভাবে পোড়ানো যাচ্ছে না। একদিকে কয়লার দাম বেড়েছে, অন্যদিকে ঘাটতির কারণে বেড়েছে ইটের দাম।
হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী কয়লা বন্দরে প্রতি বছর নভেম্বরের শুরুতেই কয়লা আমদানি শুরু হয়ে যায়। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেড়ে যাওয়ায় এবার ভারত থেকে এখনও আমদানি শুরু হয়নি। গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী বন্দরে এখনও কয়লা আমদানি শুরু হয়নি
গোবরাকুড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অশোক কুমার জানান, আন্তর্জাতিক বাজারে হঠাৎ করে কয়লার দাম বেড়ে গেছে। দেশে এক টন কয়লা আট হাজার টাকায় বিক্রি হতো। এখন দাম বেড়ে ২০ হাজার টাকা বিক্রি হচ্ছে। হঠাৎ করে দাম বেড়ে যাওয়ায় ভারতীয় রফতানিকারকরা বাংলাদেশে কয়লা পাঠানো শুরু করেননি।
তিনি আরও জানান, কয়লা আমদানির বিষয়ে গত এক সপ্তাহ আগে সীমান্তবর্তী ভারতের তোড়া জেলার গাছুয়া পাড়া স্থলবন্দরে হালুয়াঘাট স্থলবন্দর এবং গাছুয়াপাড়া স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানিকারক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে সভা হয়। ১৫ নভেম্বরের মধ্যে ভারতের রফতানিকারকরা হালুয়াঘাট বন্দরে কয়লা পাঠানোর বিষয়ে একমত হয়েছেন।
অশোক কুমার বলেন, হালুয়াঘাটের গোবরাকুড়া ও কড়ইতলী স্থলবন্দরের প্রায় ৩০০ আমদানিকারক কয়লা আনার জন্য ব্যাংকে এলসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে বসে আছে। কয়লা আমদানি শুরু হলেই দেশে অনেকটা কমে আসবে এবং বৃহৎ শিল্প মালিকরা খুব সহজে নতুন ইট পোড়াতে পারবে।
Be the first to comment