নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের দাম কমলেও সহসাই দেশে কমছে না এমন আভাসই দিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
প্রতিমন্ত্রী আজ সোমবার (২৯ নভেম্বর) ঢাকায় রেডিসন হোটেলে ইনভেষ্টমেন্ট সামিট-২০২১-এর দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে যোগ দেন এসময় তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিশ্ববাজারে তেলের দাম কমলেও তা যথেষ্ট নয়। তাই এখনই কমানো হচ্ছে না। তবে তেলের বাজারের দিকে নজর রয়েছে। ভবিষ্যতে তেলের বাজার বিশ্লেষন করে জ্বালনি তেলের মূল্য সমন্বয়ের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে বলে প্রতিমন্ত্রী জানান।
ইনভেষ্টমেন্ট সামিট দ্বিতীয় দিনে বিদ্যুৎ জ্বালানি এবং পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ শীর্ষক কারিগরী সেশনে মূল প্রবন্ধে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বব্যাপি জ্বালানি ব্যবহারের ধরনে পরিবর্তন আসছে। এই প্রেক্ষাপট বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগের পরিবেশ তৈরী হয়েছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বিদ্যুৎ উৎপাদনেই প্রয়োজন হবে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। সঞ্চালন ও বিতরণ ব্যবস্থায়ও ৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার কার্বন নি:সরণ কমিয়ে পরিবেশবান্ধব জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত ২০৩০ সাল নাগাদ ৪৯ ভাগ গ্রীণ হাউস গ্যাস নি:সরণ কমানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে । সরকার ৮ হাজার ৫০০ মেগাওয়াটের কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল করে নবায়ণযোগ্য জ্বালানি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে। গ্রীণ টেকনোলজি ব্যবহার বাড়ানোকে লক্ষ্য ধরে পাওয়ার সিষ্টেম মাস্টার প্ল্যান হালনাগাদ করা হচ্ছে। ইলেকট্রিক যানবাহনের ব্যবহার বাড়ানোকেও উৎসহিত করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, ৬ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেমের মাধ্যমে ২ কোটি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে। সোলার ইরিগেশন, সোলার মিনি গ্রীড, বায়ু বিদ্যুৎ, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ প্রভৃতি মাধ্যম হতে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়াতে নতুন নতুন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, হাইড্রোজেন ফুয়েল নিয়ে পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা প্রয়োজন। ক্লীন জ্বালানির প্রতি প্রথমেই গুরুত্ব দেয়া হবে। গ্যাস-তেল অনুসন্ধানে কার্যক্রম বাড়ানোর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা আবশ্যক। কার্বন ক্যাপচার ও স্টোরেজ সংক্রান্ত প্রযুক্তিতে আরো বিনিয়োগ প্রয়োজন।
বাংলাদেশ ইন্ডিপেন্ডেন্ট পাওয়ার প্রডিউসর’স এসোসিয়েশন (বিপপা)’র প্রেসিডেন্ট ইমরান করিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আইএফসি’র এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের শিল্প অবকাঠামো ও প্রাকৃতিক সম্পদ বিভাগের প্রধান ইসাবেল চ্যাটারটন, সামিট গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আজিজ খান, সিংগাপুরের সেম্বকর্পের নির্বাহী প্রধান কর্মকর্তা বিপুল তুলি, বাংলাদেশস্থ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর ইডিমন গিনটিং ও বাংলাদেশস্থ শেভরন-এর প্রেসিডেন্ট ইরিক এম ওয়াকার বক্তব্য রাখেন।
Be the first to comment