নিজস্ব প্রতিবেদক :
জনগণের স্বার্থ রক্ষার জন্য এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (ইআরসি) আইন আছে কিন্তু বাস্তবায়ন নেই। জ্বালানি বিভাগের নির্দেশেই মূলত বিইআরসি চলে। কমিশন অনেকটা দন্তহীন বাঘে পরিণত হয়েছে। ইআরসি যেন জ্বালানি মন্ত্রণালয় হস্তক্ষেপ করতে না পারে, সেজন্য আইন সংস্কারের দাবি জানানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে কনজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর উদ্যোগে ‘ভোক্তার জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণে ইআরসি আইন ও বিইআরসির ভূমিকা’ শীর্ষক মূল্যায়ন প্রতিবেদনের ওপর নাগরিকদের মতবিনিময় সভায় এই দাবি করা হয়।
সভায় মূল্যায়ন প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া। সভায় বক্তব্য রাখেন ক্যাব সভাপতি গোলাম রহমান,ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। অন্যদের মধ্যে স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট হুমায়ুন কবীর ভুঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সুশান্ত কুমার দাসসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
জ্যোতির্ময় বড়ূয়া বলেন, ইআরসি ২০০৩ সালের আইনে যে ক্ষমতা দেওয়া আছে, তা কমিশন ঠিকভাবে প্রয়োগ করছে না। দ্বিতীয়ত সরকার এখানে হস্তক্ষেপের মাধ্যমে কমিশনের ক্ষমতা খর্ব করছে। কমিশনে লোক নিয়োগের যোগ্যতা অযোগ্যতাগুলো নির্ধারণের ক্ষেত্রেও ভোক্তা স্বার্থ রক্ষার সুপারিশ করেন তিনি।
গোলাম রহমান বলেন, ইআরসি সরকার এবং মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বাহিরে কিছু বলতে বা কিছু করতে পারে না। কারণ ইআরসি তো মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা। তিনি বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্য একটি স্থিতিশীল অবস্থায় থাকা উচিত। বিশ্ব বাজারে দাম বাড়লে আমাদের মত দেশে হঠাৎ করে দাম বাড়িয়ে দেয়াটা ঠিক হয়নি। এখন বিশ্ব বাজারে দাম কমেছে। এখন সরকারের উচিত হবে জ্বালানি তেলের দাম পুনঃবিবেচনা করা। তবে সরকার হয়তো তেলের দাম কমাতে পারবে কিন্তু তেলের দাম বাড়াতে যেসব পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে সেগুলোর দাম কি কমাতে পারবে? বাস ভাড়া, নিত্য পণ্যের দাম তো কমবে না।
শামসুল আলম বলেন, ইআরসি আইন ও ইআরসির ভূমিকা কতটা জ্বালানি অধিকার সংরক্ষণ করছে সে ব্যাপারে মূল্যায়ন প্রতিবেদন বলা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর ভোক্তাদের পক্ষ থেকে একটি পলিসি সরকারের কাছে দাখিল করা হবে। তিনি বলেন, ইআরসি কে তুলে দেবার যড়যন্ত্র হচ্ছে। সচিবরা বলছেন ইআরসি’র দরকার কি? যদি কেউ বলে বিচার বিভাগের দরকার নেই তাহলে ভাবুন কি ধরণের অভয়ারণ্য সৃষ্টি হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক এম এম আকাশ বলেন, “ইআরসিকে গণশুনানির মতো একটা সুযোগ ভোক্তাদের জন্য দেওয়া হয়েছিল, সেটাও সঠিকভাবে কাজে লাগানো যাচ্ছে না। কোর্ট বলে দিলে পরে বার্ক গণশুনানি করে।
স্থপতি মোবাশ্বের হোসেন বলেন, “আমরা ইআরসিকে শক্তিশালী করার আলোচনা করছি। অথচ ইআরসি থাকা সত্ত্বেও সম্প্রতি যে তেলের দাম বাড়ানো হলে, তার আগে কারও মতামত নেওয়া হয়নি।
Be the first to comment