মফস্বল প্রতিবেদন:
রাজশাহীতে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানির (নেসকো) বিদ্যুৎ লাইনে কাজ করতে ওঠেন কর্মী রেজাউল ইসলাম রেজা (৪৭)। তিনি ওপরে থাকতেই লাইনে বিদ্যুৎ চলে আসে। এতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে রেজা নিচে দাঁড়ানো একজন কর্মীর ওপর পড়েন। এতে ওই কর্মীও সামান্য আহত হন।
আজ রবিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজশাহী নগরের পাঠানপাড়া এলাকায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার পর সোমবার সিরাজগঞ্জের একটি হাসপাতালে রেজার মৃত্যু হয়।
এদিকে, এ ঘটনায় বিন্দুর মোড় পিডিবি কার্যালয়ে বিক্ষোভ করছেন নেসকো শ্রমিকরা। তারা নির্বাহী, সহকারী ও উপ-সহকারী প্রকৌশলীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। তাদের দাবি, ওই লাইনে শাট ডাউনলোড না নিয়ে কাজে পাঠানো হয়েছিল রেজাকে।
নেসকোর সুপারিনটেন্ডিং ইঞ্জিনিয়ার শিরিন ইয়াসমিন সাংবাদিকদের জানান, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে দগ্ধ রেজাকে প্রথমে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে স্থানান্তরের পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সেখান থেকে বিকালে ঢাকায় নেওয়ার পথে অবস্থার অবনতি হলে তাকে সিরাজগঞ্জের খাজা ইউনুস মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার সকাল সোয়া ১০টার দিকে তিনি মারা যান।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে শিরিন বলেন, ‘ঢাকায় নেওয়ার পথে নাটোরের বনপাড়া গিয়ে নাক দিয়ে রক্ত বের হতে শুরু করে রেজার। সেখানে প্রায় ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়। এর পর আবার রওনা হলে সিরাজগঞ্জ গিয়ে একই অবস্থা হয়। এ অবস্থায় তাকে সিরাজগঞ্জে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।’
রেজা নেসকোতে টেকনিক্যাল স্টাফ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি রাজশাহী মহানগরের চন্দ্রিমা থানার মুসরইল। তবে তিনি নগরীর উপশহরে ভাড়া বাসায় থাকতেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিদ্যুৎকর্মী রেজা রাজশাহী নগরীর শাহ মখদুম ঈদগাঁওয়ের পাশে ৩৩ কেভি লাইনে কাজ করছিলেন। হঠাৎ লাইনটিতে বিদ্যুৎ চলে আসে। সঙ্গে সঙ্গে রেজাউল সেখান থেকে ১১ কেভি লাইনে পড়েন। এরপর নিচে মামুন নামের একজন কর্মীর ওপর পড়ে যান। বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন দ্রুত তাকে পিকআপ ভ্যানে করে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
নেসকোর প্রধান প্রকৌশলী অনিত রায় বলেন, ঘটনা তদন্তে একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটিই দেখবে লাইন বন্ধ করা হয়েছিল, নাকি হঠাৎ চালু হয়ে গেছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Be the first to comment