বিশেষ প্রতিবেদন :
বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) সরকারি বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান থেকে এককভাবে বিদ্যুৎ কিনে নেয়। ৬ শতাংশ উৎসে কর তাদের বিলে ওপর কাটা হয়। এ দিকে চলতি বছর আবার পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুৎ বিক্রির সময় বিতরণ প্রতিষ্ঠান থেকে উৎসে কর চালু হয়েছে। এর ফলে লোকসানের হাত থেতে রক্ষা পেতে পিডিবিকে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হবে। তাই এ উৎসে কর মওকুফ চায় সংস্থাটি।
চলতি বছরের ৯ নভেম্বর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ চিঠি দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আয়কর আরোপযোগ্য সরকারি বেসরকারি সব বিদ্যুৎ উৎপাদন প্রতিষ্ঠানের বিল থেকে ৬ শতাংশ উৎসে কর কেটে বিল দেওয়া হচ্ছে। এদিকে আবারও বিদ্যুৎ বিক্রির ওপর আয়কর কাটা হলে বিদ্যুতের দাম বাড়ানো প্রয়োজন হবে। এরজন্য পিডিবি প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ প্রতিষ্ঠানের উৎসে কর কাটা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হোক।
এতে এনআরবির চেয়ারম্যানকে অনুরোধ করে বিদ্যুৎ বিভাগ জানিয়েছে, পাইকারি বিদ্যুৎ বিক্রয়ে কোনো মুনাফা না থাকা ও পিডিবি লোকসানের সম্মুখীন হওয়ায় পাইকারি বিদ্যুৎ বিক্রির বিল থেকে উৎসে কর অব্যাহতি দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ দরকার।
পূর্বে বিদ্যুৎ বিভাগকে এ পরিস্থিতি জানিয়ে চিঠি দিয়েছিল পিডিবি। সেখানে বলা হয়, পিডিবি বেশি মূল্যে বিদ্যুৎ কিনে তা কম মূল্যে বিক্রি করছে, যার কারণে প্রতিবছর সংস্থাটির লোকসান হচ্ছে। পিডিবি ২০১৯-২০ অর্থবছর পর্যন্ত ৬২ হাজার কোটি টাকা লোকসান করেছে।
এদিকে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) তথ্য অনুযায়ী, বিগত ১১ বছরে ১০ বার বিদ্যুতের দাম বাড়ানো হয়েছে। পাইকারি পর্যায়ে ১১৮ শতাংশ ও খুচরা পর্যায়ে ৮৯ দশমিক ৬৩ শতাংশ দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এরপরও মিটছে না বিদ্যুৎ ঘাটতি।
Be the first to comment