নিউজ ডেস্ক : বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, সীমিত সম্পদ নিয়েই বাংলাদেশ নবায়নযোগ্য জ্বালানির প্রসারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। এ পর্যন্ত ছয় মিলিয়নেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপনের মাধ্যমে গ্রিড নেটওয়ার্কের বাইরে ২০ মিলিয়নেরও বেশি মানুষকে বিদ্যুতায়নের আওতায় আনা হয়েছে।
শনিবার (১৫ জানুয়ারি) ‘ইন্টারন্যাশনাল রিনিউয়েবল এনার্জি এজেন্সি (IRENA)’র ১২তম অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য দেওয়ার সময় এসব কথা বলেন।
নসরুল হামিদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ২৩১ মেগাওয়াট ক্ষমতার ৮টি সোলার পার্ক গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে। দেশে স্থাপিত ক্ষমতার সৌর বিদ্যুৎ প্রায় ৬৫০ মেগাওয়াট। এছাড়া ২৬টি মিনিগ্রিডের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রিডমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে। দুই হাজারেরও বেশি সৌর সেচ ব্যবস্থা এখন কাজ করছে। যা উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ডিজেল খরচ কমিয়েছে।
বৈশ্বিক জ্বালানি চ্যালেঞ্জ নির্ভরযোগ্যভাবে সমাধান করতে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অপরিহার্য উল্লেখ্য করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আঞ্চলিক ও উপ-আঞ্চলিক সহযোগিতাও বাড়ানো প্রয়োজন। সাশ্রয়ী মূল্যে আধুনিক ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তি সকলের জন্য উন্মুক্ত রাখতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘কৃষি বা অন্যান্য ব্যবহারের জন্য জমির প্রতিযোগিতামূলক চাহিদার কারণে বড় আকারে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করা বাংলাদেশের জন্য বেশ কঠিন। ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্রযুক্তির সম্ভাবনা এবং ছাদে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনের মতো বিকল্প ব্যবস্থা খোঁজা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার ছাদে সোলারকে উৎসাহিত করার জন্য নেট মিটারিং নির্দেশিকা চালু করেছে। নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণের জন্য সৌর শক্তির পাশাপাশি বায়ু শক্তি, বর্জ্য হতে বিদ্যুৎ এবং অন্যান্য পুনর্নবিকরণযোগ্য শক্তির সম্ভাবনা খোঁজারও পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।’
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এসব উদ্যোগের ফলে এখন পর্যন্ত ২৪৫ মেগাওয়াট বায়ু বিদ্যুৎ প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের একটি ডাম্পিং সাইটে ৪২ দশমিক ৫ মেগাওয়াট ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্ল্যান্ট নির্মাণের জন্য একটি চুক্তি সই হয়েছে। সিটি করপোরেশন এবং পৌরসভাজুড়ে একই রকম ‘ওয়েস্ট টু এনার্জি’ প্ল্যান্ট পর্যায়ক্রমে তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বৃহৎ আকারে নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য সমুদ্রের দিকে নজর দেওয়ার সময় এসেছে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে ‘Member Interventions’ সেশনে জিম্বাবুয়ে, কলোম্বিয়া, ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র , এল সাল্বেদর, বেলজিয়াম, নরওয়ে, উরুগুয়ে, কানাডা, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর, গ্রিস, স্পেন, চীন, জাপান, সুইজারল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া, তারকমিনিস্থান, সার্বিয়া, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, সান মারিনো ও সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা বক্তব্য দেন।
Be the first to comment