নিউজ ডেস্ক :
আন্তর্জাতিক বাজারে আবারও বাড়তে শুরু করেছে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের দাম। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে তেলের চাহিদা বাড়বে এমন সম্ভাবনায় আজ মঙ্গলবার তেলের দাম বেড়ে সাতবছরে সর্বোচ্চ হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত বহুজাতিক সেবা প্রতিষ্ঠান পিডব্লিউসি’র এক জরিপে বিশ্বের ৭৭ শতাংশ সিইও ২০২২ সালে বিশ্ব অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে বলে আশাবাদের কথা জানিয়েছেন। এছাড়া করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রণ নিয়ে যে উদ্বেগ ছিল তাও আস্তে আস্তে কাটছে। অনেক দেশ ভ্রমণের বিধিনিষেধ শিথিল করার ঘোষণা দিয়েছে। এতে বিমানের জ্বালানির দামও বাড়ছে।
আজ লন্ডনের অপরিশোধিত ব্রেন্ট তেলের দাম ১.৭ শতাংশ বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৮.১৩ ডলার। এর পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রের ডব্লিউটিআই তেলের দাম বেড়ে প্রতি ব্যারেল হয় ৮৫.৭৪ ডলার। ২০১৪ সালের অক্টোবরের পর এ মূল্য আর দেখা যায়নি। আশা করা হচ্ছে চীনসহ তেলের বড় ভোক্তা দেশগুলো মুদ্রানীতি আরো শিথিল করবে। যা তেলের বাজার বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, সম্প্রতি আরেকটি কারণে তেলের দাম বেড়েছে। গত সোমবার আবু দাবিতে ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা হামলা চালায়। সেখানে একটি জ্বালানির ট্যাংক বিস্ফোরিত হয়ে তিনজন নিহত হয়। এ খবরেও তেল সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তেলের দাম বাড়ার কারণ হিসেবে রিস্ক ইনটেলিজেন্স কম্পানি ভেরিস্ক ম্যাপলক্রপট এর বিশ্লেষক টবজর্ন সল্টভেডট বলেন, ‘হুতিদের ড্রোন হামলায় তেলের সরবরাহ ও মজুদ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। এছাড়া আঞ্চলিক উদ্বেগ তো রয়েছেই। পরমাণু বিষয়ক আলোচনার দিকে বিশ্লেষকরা নজর রাখছেন।’
ইতিপূর্বে বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান গোল্ডম্যান স্যাকস এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে, তেলের দাম অব্যাহতভাবে বাড়বে। এমনকি আগামী বছর এর দাম ১০০ ডলার ছাড়াতে পারে। যা ২০১৪ সালের জুলাইয়ের পর আর দেখা যায়নি।
ব্যাপক চাহিদার কারণে গত বছরের জুন থেকে বিশ্ববাজারে বাড়াতে থাকে জ্বালানি তেলের দাম। ২০২১ সালে তেলের দাম ৫০ শতাংশের বেশি বাড়ে। অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েট তেলের দাম বেড়ে হয় প্রতি ব্যারেল ৮৫ ডলার। এ অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রসহ বড় ক্রেতা দেশগুলো তেলের জরুরি মজুদ বাজারে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েও বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছিল না। কিন্তু করোনার নতুন ধরণ ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ায় কমতে শুরু করে। এ বছর অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় আবারও বাড়ছে তেলের দাম। সূত্র:কালের কন্ঠ।
Be the first to comment