নিজস্ব প্রতিবেদক :
বিদ্যুৎ উৎপাদনের ক্ষেত্রে কয়লার নির্ভরতা থেকে বের হয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে উৎসাহ প্রদান করা সরকারের উচিত বলে মনে করেন পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ আব্দুল মান্নান।
শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বাপা-বেনের জ্বালানি, জলবায়ু এবং টেকসই উন্নয়ন বিষয়ক সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, শুধু জ্বালানি নয়, দেশের প্রতিটি উন্নয়নমূলক ক্ষেত্রে কাজ করছে সরকার। দেশে এখন ৯৮ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে যাওয়ায় ১৮ কোটি মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, জ্বালানি ক্ষেত্রে গত কয়েক দশকে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ঘাটতি কমানোয় সরকারের প্রশংসা করে তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ৫ হাজার থেকে ২২ হাজার মেগাওয়াট উন্নীত করা বড় সাফল্য।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে সুলতানা কামাল বলেন, উন্নয়নের প্রয়োজন আছে, উন্নয়নের জন্য বিদ্যুতের প্রয়োজন আছে। ঘরে ঘরে যখন বিদ্যুতের আলো জ্বলে ওঠে তখন আমাদের মনেও অহংকারের বোধ জাগে। কিন্তু সেটা আমরা কিসের বিনিময়ে পাচ্ছি সেটা আমাদের খেয়াল করতে হবে। একটা এলাকায় উন্নয়নের ধারণ ক্ষমতা কেমন সেটাও আমাদের দেখতে হবে। দীর্ঘ দিন ধরে রামপাল নিয়ে একটা অস্বচ্ছতা রয়েছে, বিতর্ক রয়েছে। বিভিন্ন সময় বলা হয়েছে আমাদের কথায় বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। আমরা আবেগ দিয়ে কথা বলি। কিন্তু আমরা ১৩টি বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধ সরকারের প্রতিনিধির কাছে জমা দিয়েছিলাম। উন্মুক্ত আলোচনার কথা বলেছি, সরকার থেকে আজ পর্যন্ত কোন ফিডব্যাক পাইনি। জনগণের প্রতিনিধিরা দেশ চালাচ্ছেন, তাহলে তো জনগণের সঙ্গে পরামর্শ করতেই হবে।
তিনি আরো বলেন, `কার লাভের জন্য প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে সাফারি পার্ক বানানো হচ্ছে। বন হচ্ছে প্রাকৃতিক ফুসফুস, এটা মানুষের সুস্থ ভাবে বাঁচার জন্য কত জরুরি।’
অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য ড. ইউনুস মিয়া, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সাধারণ সম্পাদক শরিফ জামাল, বাফার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান মজুমদার প্রমুখ।
Be the first to comment