গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর চারদিনের গণশুনানি শুরু

গ্যাস

নিজস্ব প্রতিবেদক :

গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাবের ওপর আজ থেকে চারদিনের গণশুনানি শুরু করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। আজ সোমবার (২১ মার্চ সকাল ১০টা থেকে শুরু হবে এই শুনানি। রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে আয়োজিত এ গণশুনানি চলবে ২৪ মার্চ পর্যন্ত। বিইআরসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

বিইআরসি জানিয়েছে, গণশুনানির প্রথম দিনে পেট্রোবাংলা এবং গ্যাস সঞ্চালন কোম্পানি জিটিসিএলের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২২ মার্চ সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি ও পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর শুনানি করবে কমিশন। এরপর ২৩ মার্চ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড ও বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ২৪ মার্চ জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেড ও কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি হবে।

রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো গ্যাসের দাম ১১৭ শতাংশ পর্যন্ত বাড়াতে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) কাছে প্রস্তাব দেয়। এই প্রস্তাবের ওপর গণশুনানি শুরু হচ্ছে।

গ্যাসের দাম দ্বিগুণের বেশি বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। একচুলা ৯২৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২১০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। আবাসিকে প্রিপেইড মিটার ব্যবহারকারি গ্রাহকদের প্রতি ঘনমিটারের বিদ্যমান মূল্য ১২.৬০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৭.৩৭ টাকা, সিএনজি প্রতি ৩৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৬.০৪ টাকা, হোটেল-রেস্টুরেন্টে ২৩ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৯.৯৭ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭.০৪ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩৭.০২ টাকা, ১০.৭০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩.৮৫ টাকা থেকে ৩০.০৯ টাকা, চা শিল্পে ১০.৭০ টাকা বাড়িয়ে ২৩.২৪ টাকা করার প্রস্তাব করেছে।

অন্যদিকে বিদ্যুৎ ও সার কারখানায় থাকা বিদ্যমান দর ৪.৪৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯.৬৬ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। বাড়তি বিদ্যমান গড় ৯.৩৬ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০.৩৫ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, সর্বশেষ ২০১৯ সালের ১ জুলাই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। বাসাবাড়িতে দুই চুলার খরচ ৮০০ থেকে বাড়িয়ে ৯৭৫ টাকা আর এক চুলার খরচ ৭৫০ থেকে ৯২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। এছাড়া সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাসের (সিএনজি) দাম নির্ধারণ করা হয় প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সারের জন্য ৪ টাকা ৪৫ পয়সা। হোটেল-রেস্তোরাঁয় প্রতি ঘনমিটার ২৩ টাকা, ক্যাপটিভ পাওয়ারে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, শিল্প ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ টাকা ৪ পয়সা।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.