মালিক পক্ষের সঙ্গে আলোচনার পর পেট্রোলপাম্প বন্ধের বিষয়ে সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক:
সপ্তাহে এক দিন পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখতে চায় সরকার। তবে এ বিষয়ে এখনও চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। পেট্রোল পাম্প মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত হবে।

প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, দেশে প্রতি বছর যে ডিজেল আমদানি হয় আর ১০ ভাগ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার হয়। বাকি ৯০ ভাগেই ব্যবহার করে অন্যখাত। ডিজেল চালিত বিদ্যুত উৎপাদনে বন্ধ করলে ১০ ভাগ ডিজেল সাশ্রয় হবে। অন্য খান থেকে আরো ১০ ভাগ ডিজেল সাশ্রয় করা সম্ভব হলে মোট সাশ্রয়ের পরিমান দাঁড়াবে ২০ ভাগে। এতে করে ২০ ভাগ ডিজেল কম আমদানি করলেই চলবে। অর্থাৎ আমদানি ব্যয় এক লাফে অনেকটা কমে যাবে।

বিশ্বব্যাপি জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে সরকারের এই চিন্তাকে ইতিবাচক হিসেবে দেখা হচেছ। ভারতে প্রতি লিটার ডিজেল ১২০ রুপিতে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে বাংলাদেশে ডিজেলের দাম ৮০ টাকা। অর্থাৎ ভারত এবং বাংলাদেশে ডিজেলের দামের পার্থক্য প্রায় ৬০ টাকার মতো।

সারা বিশ্বে জ্বালানি সংকটের মধ্যে সাশ্রয়ী নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। আবার কেউ কেউ মূল্য বৃদ্ধি করে পরিস্থিতি সামাল দিচ্ছে। বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার হয়তো দাম বৃদ্ধি করলে দেশীয় মুদ্রা টাকা পাবে। কিন্তু সরকারকে ডিজেলের আমদানি ব্যয় হিসেবে ডলার পরিশোধ করতে হবে। এখন সারা বিশ্বে ডলারের সংকট চলছে।
বাংলাদেশও সে ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম নয়। সাম্প্রতিক সময়ে রিজার্ভ ৪০ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে এসেছে। যাতে ভবিষ্যতে কোন ঝুঁকি সৃষ্টি না হয় এজন্য আমদানি ব্যয় কমানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বলা হচ্ছে সাময়িক এই সংকট সামাল দিতে সকলে মিলে সাশ্রয়ের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে হবে। সেক্ষেত্রে পরিবহনখাতে ডিজেল সাশ্রয় করার উদ্যোগ হিসেবে পেট্রোল পাম্প সপ্তাহে এক দিন বন্ধ রাখতে চায় সরকার। তবে এখনই সিদ্ধান্ত নয়। মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে পেট্রোলপাম্প মালিকদের সঙ্গে বিসিসি এবং জ্বালানি বিভাগের বৈঠকের পর এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.