
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিগগিরই জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় করা হবে বলে জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সংসদীয় কমিটিকে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ জাতীয় সংসদ ভবনে সরকারি প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ। কমিটি সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান, ওমর ফারুক চৌধুরী, মো. মাহবুব-উল আলম হানিফ এবং মো. জিল্লুল হাকিম বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) নিয়েও আলোচনা হয়।
জানা গেছে, বৈঠকে কমিটির পক্ষ থেকে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাওয়া হয়। জবাবে বৈশ্বিক মূল্য বৃদ্ধির প্রেক্ষাপটে পার্শ্ববর্তী দেশের সাথে সমন্বয় করতে এ দাম বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে কমিটির সভাপতি আ স ম ফিরোজ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। আমরা দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চেয়েছি। মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেছেন— পাশ্ববর্তী দেশের সঙ্গে সমন্বয় করে তারা দাম বাড়িয়েছে। না হলে তেল এদিক–সেদিক হওয়ার আশঙ্কা ছিল।’
সভাপতি আরও বলেন, ‘দ্রুততম সময়ের মধ্যে মূল্য সমন্বয় করে দেওয়া হবে বলে মন্ত্রণালয় আমাদের জানিয়েছে।’
রাশিয়া থেকে সরকারি পর্যায়ে জ্বালানি তেল আমদানির চিন্তা করা হচ্ছে উল্লেখ করে কমিটির সভাপতি জানিয়েছেন, মন্ত্রণালয় রাশিয়া থেকে তেল আমদানির বিষয়ে আলোচনা চলছে। বেসরকারি পর্যায়ে কিছু প্রস্তাব এসেছে। তবে সরকার চাচ্ছে জিটুজি পদ্ধতিতে আমদানি করতে। মন্ত্রণালয় আমদানির বিষয়ে ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। রাশিয়ার ক্রুড অয়েল রিফাইন করার প্রযুক্তি আমাদের নেই। এ কারণে রাশিয়া থেকে রিফাইন অয়েল আমদানি করা হবে বলে মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়- বৈঠকে বৈঠকে আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে দেশে জ্বালানি মূল্য সমন্বয় করার জন্য কমিটি কর্তৃক মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) পরিশোধিত ও অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের মজুদ সক্ষমতা বাড়ানোর নিমিত্ত দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আপদকালীন সময়ে পর্যাপ্ত তহবিলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা রাখার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
বৈঠকে বিশ্বর বিভিন্ন উন্নত দেশের ন্যায় বাংলাদেশে জ্বালানি তেল অপারেশনে অটোমেশন পদ্ধতি দ্রুত চালু করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া, কমিটি প্রাতিষ্ঠানিক প্রভিশনাল ও চুড়ান্ত হিসাব যথা সময়ে প্রণয়নপূর্বক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করে।
Be the first to comment