দাবি না মানলে ৩১ আগস্ট তেল পাম্প বন্ধ রাখবে মালিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
তেল বিক্রির কমিশন বাড়ানো ও তেলের পাম্পে বিপিসির অংশগ্রহণ ছাড়া মোবাইল কোর্ট পরিচালনা বন্ধসহ ৫ দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউশন, এজেন্টস এন্ড পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন। পাশাপাশি ৭ দিনের মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে আগামী বুধবার (৩১ আগস্ট) ভোর থেকে সকাল ১১টা পর্যন্ত তেলের পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন।

বুধবার (২৪ আগস্ট) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি করা হয়।

পেট্রোলপাম্প ওনার্স এসোসিয়েশন দাবিগুলো হলো- জ্বালানি মন্ত্রণালয়, বিপিসি এবং এসোসিয়েশন নেতৃবৃন্দের মাঝে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ি তেল বিক্রির কমিশন তেলের মূল্যের উপর শতকরা হার বা পার্সেন্টেজ ভিত্তিতে করতে হবে; তেলের পরিমাপে কারচুপি রোধে নিয়মিত মনিটরিং বা অভিযান পরিচালনা করতে হবে। বিপিসি বা বিপণন কোম্পানি প্রতিনিধি ছাড়া ভোক্তা অধিদপ্তর, বিএসটিআই-এর অভিযান এবং মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যাবে না এবং অনতিবিলম্বে তেল কোম্পানি, বিএসটিআই এবং এসোসিয়েশন প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত মনিটরিং সেলের কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

এছাড়া  বিপিসি, বিপণন কোম্পানি এবং জ্বালানি মন্ত্রণালয় ছাড়া অন্য কোনো দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান পাম্পের কাগজপত্র চেক করার নামে পাম্প মালিকদের হয়রানি করা যাবে না; বিপিসি, বিপণন কোম্পানি এবং বিএসটিআই ও এসোসিয়েশনের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত যৌথ সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি পাম্পের আন্ডারগ্রাউন্ড ট্যাংক ক্যালিবারেশন (যার সাথে ভোক্তার কোনো স্বার্থ জড়িত নাই) সার্টিফিকেট নবায়ন প্রথা বাতিল করতে হবে; সকল ডিপোতে পার্কিং স্ট্যান্ড নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া ট্যাংকলরি চালকদের জন্য বিআরটিএ কর্তৃক আলাদা কাউন্টার করার সরকারি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে হবে এবং শোধনাগার সুবিধা সমন্বিত বিভিন্ন গ্যাস ফিল্ডের শোধনাগার পূর্বের ন্যায় চালু করতে হবে।

এসোসিয়েশন সভাপতি মো: নাজমুল হক বলেন, আমাদের কমিশন বাড়ানোর জন্য আমরা বারবার দাবি জানিয়ে আসছি। সেই ২০১৩ সালে আমাদের তেল বিক্রিতে কমিশন অকটেন ও পেট্রোলে ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ও ডিজেলে ৩ দশমিক ২২ শতাংশ নির্ধারিত ছিলো। আমরা ২০১৬ সাল থেকে ৭ শতাংশ করার দাবি জানিয়ে আসছি। কিন্তু সেটা না করে শতাংশের বদলে পয়সার হিসাব নির্ধারণ করা হয়েছে। যার ফলে তেলের দাম বাড়লেও আমাদের কোনো লাভ হয়নি। বরং শতাংশের পরিমাণ কমে পেট্রোল-অকটেনে ৩ দশমিক ৭৮ শতাংশ ও ডিজেলে ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ হয়ে গেছে।

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব জুবায়ের আহমেদ চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি হারুন অর রশীদসহ কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.