নিজস্ব প্রতিবেদক :
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ-৪ কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স)। এখান থেকে দৈনিক অন্তত ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়ার আশা করা হচ্ছে। তবে গ্রিড লাইনের সঙ্গে সংযুক্তি এবং প্রসেস প্ল্যাট এর কাজ শেষ না হওয়া অবধি এই গ্যাস গ্রিডে যোগ হবে না।
নোয়াখালির সোনাইমুড়ী উপজেলার ওয়াছেকপুর গ্রামে। বাপেক্স বলছে আজ সোমবার রাত ৮টায় কূপে আগুন প্রজ্জ্বলন করা হয়। কূপটিতে ৩ হাজার ১১৩ মিটার গভীর পর্যন্ত চারটি স্তরে গ্যাস রয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে দেশে গ্যাসের যে তীব্র সংকট চলছে এই সংকটময় মুহূর্তে এই কূপে গ্যাসপ্রাপ্তি অনেক আশার জন্ম দিয়েছে। আগামী কয়েক দিন কূপের প্রতিটি স্তরে গ্যাসের ডিএসটি টেস্ট করা হবে। এরপর কূপে গ্যাসের মোট মজুত সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা পাওয়া যাবে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ জেলার কোম্পানীগঞ্জের চরকাঁকড়া ইউনিয়নের চরকাঁকড়া গ্রামে সুন্দলপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৪ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায়। ওই গ্যাসক্ষেত্র থেকে এরইমধ্যে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। বাপেক্সের কর্মকর্তারা আশা করছেন, বেগমগঞ্জ-৪ নামের নতুন কূপ থেকে প্রতিদিন গড়ে ১০-১২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা সম্ভব হবে। তার চেয়েও আশার দিক হলো, এই কূপের চারটি স্তরেই গ্যাসের উপস্থিতি রয়েছে।
১৯৭৬ সালে বেগমগঞ্জ-১ এবং ১৯৭৮ সালে বেগমগঞ্জ-২ গ্যাসকূপ খনন করা হলেও সেগুলো থেকে গ্যাস উত্তোলন করা সম্ভব হয়নি। ২০১৪ সালে বেগমগঞ্জ-৩ কূপ খনন করা হয় এবং সেখান থেকে এখনো প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস ফেনী-নোয়াখালী-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে। ভবিষ্যতে এখানে বেগমগঞ্জ-৫ ও বেগমগঞ্জ-৬ কূপ খননের পরিকল্পনা রয়েছে বাপেক্সের।
Be the first to comment