নিজস্ব প্রতিবেদক :
পানি কমে আসায় কোন কোন এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে পুরোপরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় প্রয়োজন হবে বলে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি) এবং বিদ্যুতায়ন বোর্ড (পিডিবি)। বন্যায় সিলেট এবং চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিদ্যুৎ না থাকায় কোন কোন এলাকার সঙ্গে মোবাইল সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
বিশেষ করে পানি বন্দি মানুষ মোবাইল চার্জ দিতে পারছে না। এতে অন্য এলাকার মানুষ তাদের নিকট আত্মীয় পরিজনদের খবর নিতে পারছেন না।
বন্যা কবলিত আরইবির ১১ টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি এবং পিডিবির ৫ টি বিদ্যুৎ অফিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই দুই বিতরণ কোম্পানির বন্ধ আছে মোট ১৫ টি উপকেন্দ্র। যা গতকাল শুক্রবার ছিল ১৮ টি।
রবিবারের হিসেবে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে আরইবির প্রায় ৭ লাখ ৮০ হাজার ৭৪৬ জন, যা গতকাল ছিল ৯ লাখ ২৪ হাজার ২৬৬ জন। এতে বোঝা যায় যায় বিদ্যুৎ সরবরাহও বাড়তে শুরু করেছে। এদিকে পিডিবির অধীনে আজ বিদ্যুৎ হীন আছে ২৩ হাজার ৪০০ জন, যা গতকাল শনিবার ছিল ৪৩ হাজার গ্রাহক। সব মিলিয়ে রবিবার ৮ লাখ ৪ হাজার ১৪৫ গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎ বিহীন।
পল্লী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (আরইবি) জানায়, বন্যায় তাদের অধীন ১১টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির গ্রাহকরা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের হিসেবে জানা যায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিগুলোর মধ্যে চাঁদপুরে ১-এ গতকাল বিদ্যুৎ হীন ছিল ৫০০, আজ তা কমে ১৪৫, নোয়াখালীতে ছিল ২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০, আজ ১ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০, ফেনীতে ছিল ৪ লাখ ৪১ হাজার ৫৪৬, আজ ৪ লাখ ৮ হাজার, লক্ষ্মীপুরে ছিল ২৫ হাজার জন, আজ তা বেড়ে ৪৫ হাজার হয়েছে। অর্থাৎ এই এলাকায় নতুন করে বেশ কিছু এলাকা প্লাবিত হওয়ায় ঝুঁকি বিবেচনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। এদিকে কুমিল্লা ২-এ গতকাল ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৮০ জন, আজ তা ৮২ হাজার, কুমিল্লা ৪-এ ছিল ২০ হাজার, আজ ৯ হাজার, চট্টগ্রাম ২ ছিল ৮ হাজার, আজও ৮ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ হীন, চট্টগ্রাম ৩-এ ছিল ৭০ হাজার, আজ ৬০ হাজার, কক্সবাজারে ছিল১৪০ জন, আজ ১০০, মৌলভীবাজারে ছিল ৫ হাজার, আজ ৫০০ এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ছিল ৩ হাজার ৫০০ জন, আজ ১ হাজার ৫০০ গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় আছে।
এদিকে মোট ১৭৪টি উপকেন্দ্রের মধ্যে আজ বন্ধ আছে ১৫টি, গতকাল ছিল ১৭ টি। ১১ কেভি ফিডারের মধ্যে বন্ধ আছে আজ ১৪টি গতকাল ছিল ১৬০টি।
এদিকে পিডিবি জানায়, বন্যায় তাদের অধীনে সুলতানপুর ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্রটি বন্ধ ছিল, আজ সব উপকেন্দ্র চালু হয়েছে। ৭টি ১১ কেভি ফিডার বন্ধ আছে। চৌদ্দগ্রাম ছাড়া কুমিল্লা, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চৌমুহনীর বিদ্যুৎ অফিসের অধীনের ২৩ হাজার ৪০০ জন গ্রাহক এখনো বিদ্যুৎহীন, যা গতকাল ছিল ৪৩ হাজার। এরমধ্যে ৯টি ট্রান্সফরমার এবং ৪৪টি মিটার পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে৷ এছাড়া ৩ কিলোমিটার ৩৩ কেভি লাইন, ১৫ কিলোমিটার ১১ কেভি লাইন, ১৮ কিলোমিটার ১১/০.৪ কেভি লাইন, ১৭ কিলোমিটার ০.৪ কেভি লাইনের ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে পিডিবি জানায়, তাদের মোট ক্ষতি প্রাথমিক হিসেবে ৬০ লাখ টাকা৷
Be the first to comment