ইস্টার্ন রিফাইনারী ইউনিট-২ থেকে আলোচিত এস আলম বাদ

ইস্টার্ন রিফাইনারি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

ইস্টার্ন রিফাইনারী ইউনিট-২ থেকে আলোচিত এস আলম গ্রুপকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার। আজ বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের এক খবর বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এক যুগ আগে হাতে নেয়া প্রকল্পটিতে বিদেশী বিনিয়োগ সংস্থান করতে পারেনি আওয়ামী লীগ সরকার। বিগত সময় ইউরোপ এবং মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি কোম্পানি বিনিয়োগ আশ্বাস দিলেও তারা শেষ অবধি আর বিনিয়োগ করেনি। ফলে দেশী কোম্পানি এস আলম গ্রুপ প্রকল্পটিতে বিনিয়োগের আগ্রহ দেখায়।
যদিও এই প্রকল্পে বিনিয়োগের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পছন্দকে গুরুত্ব দেয়ার অভিযোগ ছিল। বিভিন্ন সূত্রর খবর বলছে সাবেক জ্বালানি মন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু এ বিষয়ে খানিকটা নাখোশ ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের চাপে শেষ পর্য়ন্ত বিপুর বিরোধিতা ধোপে টেকেনি।
মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিপিসি’র আওতাধীন ইস্টার্ণ রিফাইনারী লিমিটেড (ইআরএল) কর্তৃক বাস্তবায়নের জন্য প্রস্তাবিত ‘ইন্সটলেশন অব ইআরএল ইউনিট-২’ শীর্ষক প্রকল্পটি বিপিসি/ইআরএল এবং এস আলম গ্রুপের মধ্যে সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগী চুক্তির আওতায় বাস্তবয়ন প্রস্তাব বাতিলের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
একইসাথে প্রকল্পটির (প্রস্তাব) ডিপিপি বৈদেশিক মুদ্রার হালনাগাদ রেট অনুযায়ী প্রাক্কলন এবং সমস্ত ক্রয় পরিকল্পনা পিপিআর-২০০৮ অনুযায়ী প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে পরিকল্পনা কমিশনে পুনর্গঠিত ডিপিপি প্রেরণ করার জন্য বিপিসি’তে চিঠি দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
সাবেক সরকারের জ্বালানি বিভাগের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা বলেন, তেল পরিশোধনাগার একটি পুরাতন বিজনেস মডেল। এখন সারা বিশ্বেই নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে ঝুকছে। এই পরিস্থিতিতে নতুন করে তেল পরিশোধনাগারে কেউ বিনিয়োগ করতে আগ্রহ দেখায়নি। বিশেষত একটি তেল পরিশোধনাগার একবার নির্মাণ করলে অন্তত ৭০ বছর এটি দিয়ে তেল পরিশোধন করা যায়। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সারা বিশ্বেই জ্বালানির ব্যবহারে বড় রকমের পরিবর্তন আসবে। যাতে করে জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমেগেলে পরিশোধনাগারটি বেকার পড়ে থাকবে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে জ্বালানি তেলের খনি না থাকাতে বিদেশ থেকে ক্রড অয়েল এনে তা পরিশোধন করতে হয়। এখন খনিমুখে বা যেসব দেশে ত্রুড অয়েল রয়েছে সেখানেই বড় বড় পরিশোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে।
তবে নতুন এই পরিশোধনাগার নির্মাণ করে দেশের তেল পরিশোধন ক্ষমতা ১৫ লাখ টন থেকে বাড়িয়ে ৪৫ লাখ টনে উন্নিত করার পরিকল্পনা ছিল সাবেক সরকারের। দেশের আরো একটি বড় শিল্পগ্রুপ বেসরকারি উদ্যোগে তেল পরিশোধন এবং বাজারজাত করতে আগ্রহী।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*


This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.